বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের শেষ লগ্নে এসেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকন্দলের জেরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। যার ফলে ক্রমশ দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট হয়ে উঠছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি। সম্প্রতি তেমনই এবার দল ছাড়লেন ২ শতাধিক তৃণমূল নেতা কর্মী ।
নির্বাচন চলাকালীনই দল-বদলুদের আচমকা এভাবে তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া নিঃসন্দেহে একটা বিরাট বড় ক্ষতি। উত্তর কলকাতার ৬২ নম্বর ওয়ার্ডে সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের কেন্দ্র থেকেই এদিন তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক তৃণমূল কর্মী।
একদিনেই একসাথে এতজন তৃণমূল কর্মী দল ছাড়ায় তা নিঃসন্দেহে দলের জন্য এক বিরাট ক্ষতি। প্রসঙ্গত সামনেই ১ জুন উত্তর কলকাতার এই কেন্দ্রে রয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। তার আগে আগামী ২৭ মে বেলেঘাটা থেকে উত্তর কলকাতার প্রার্থীদের সমর্থনে পদযাত্রা করার কথা রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আর ঠিক তার আগেই শুক্রবারেই রাজ্যের শাসক দলের এক ঝাঁক তৃণমূল নেতাকর্মীরা দল ছেড়ে চলে যাওয়ায় তা একপ্রকার গলার কাঁটা হয়ে বিঁধছে রাজের শাসকদলের। উত্তর কলকাতার ৬২ নম্বর ওয়ার্ডে
তৃণমূলের তরফে ভোটে দাঁড়িয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandyopadhyay)।
আরও পড়ুন: SSC-র পর এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ! বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট, তোলপাড় রাজ্য
আর তাঁর প্রতিপক্ষ হয়ে বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তাপস রায়। অন্যদিকে এই হেভিওয়েট কেন্দ্র থেকে জোটের প্রার্থী কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য (Pradip Bhattacharya)।
তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি তৃণমূল ছেড়ে যে ২০০ জন বেড়িয়েছেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ কর্মীই নাকি সংখ্যালঘু কর্মী। তাই প্রশ্ন উঠছে এই নির্বাচনের মুখেই কি তবে সংখ্যালঘু দের মধ্যেও তৃণমূল ছেড়ে অন্যদলে যোগ দেওয়ার ঝোঁক বাড়ছে নাকি আদতে তেমন কিছুই নয়।