বাংলা হান্ট ডেস্ক: লটারি টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি (Crorepati) হওয়ার ঘটনা কানে আসে হামেশাই। কখনও দিন আনা-দিন খাওয়া রাজমিস্ত্রি তো কখনও গরিব কৃষক (Farmer) লটারির টিকিট জিতেই রাতারাতি বদলে ফেলেন ভাগ্য। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ টাকা যদি কোন কারণ ছাড়াই কারও অ্যাকাউন্টে জমা হয় তাহলে তা খুশির বদলে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি ঠিক এমনই এক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের (UP) কৃষক ভানু প্রকাশ। রাতারাতি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা দেখে আত্মারাম খাঁচার বাইরে চলে যাওয়ার জোগাড় হয় কৃষকের। সম্প্রতি অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে টাকার অঙ্ক দেখেই চমকে ওঠেন ওই ব্যক্তি।
আসলে নিজের ফাঁকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রাতারাতি ৯,৯০০ কোটি টাকায় ভরে যাওয়ায় প্রথমে তিনি নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। এমনকি হিসেব করতে পারছিলেন না টাকার অঙ্কটাও। তাই সময় নষ্ট না করে এদিন উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে এই কৃষক নিজেই সোজা গিয়ে হাজির হন ব্যাংকে।
এরপর ব্যাংক কর্তাদের সাথে কথা বলে তিনি জানতে পারেন তার অ্যাকাউন্টে ওই টাকা ব্যাংকের তরফ থেকেই প্রযুক্তিগত ভুলের কারণে পাঠানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত আগেই বলেছি যে ওই ব্যক্তি পেশায় একজন কৃষক। এপ্রসঙ্গে ব্যাঙ্কের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ভানু প্রকাশের অ্যাকাউন্টটি আসলে কিসান ক্রেডিট কার্ড লোন অ্যাকাউন্ট।
আরও পড়ুন: দার্জিলিং শব্দেই লুকিয়ে আছে ভয় ধরানো অর্থ! নামকরণের তাৎপর্য কী ?
যা বর্তমানে নন-পারফর্মিং অ্যাসেটে পরিণত হয়েছে। আর এদিন প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই ভানুর অ্যাকাউন্টেই এতো গুলো টাকা চলে গিয়েছে।তাই তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিষান বিকাশ যোজনা প্রকল্পের টাকাই ভুলবশত ঢুকে গিয়েছে।
তবে শূন্য থেকেই রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়েও ওই অ্যাকাউন্ট থেকে একটা টাকাও খরচ পারছেন না ভানু। কারণ তিনি যাতে ওই বিপুল অংকের টাকা অকারণে খরচ করতে না পারেন তার জন্যই ব্যাংকের তরফ থেকে তার অ্যাকাউন্টটিকে ফ্রিজ করে দেয়া হয়েছে।