কয়লা খনির শ্রমিক ছিলেন মা! কানের কার্পেটে নিজের তৈরী ২০ কেজির গাউন পরে হাঁটলেন ন্যান্সি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বলি অভিনেত্রী ঐশ্বর্য থেকে শুরু করে ঊর্বশী, কানের লাল গালিচায় হাঁটা ভারতীয় সুন্দরীদের রূপে মজে ফ্রেঞ্চ রিভারা। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) এক কন্যা চমক দিলেন কানের রেড কার্পেটে হেঁটে। গোটা বিশ্ব তাঁর এমন কাজ দেখে গিয়েছে। তিনি ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী। তিনি এখন লাইম লাইট কেড়ে নিয়েছেন বলায় চলে। কানের মত বিশ্ব বিখ্যাত চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবারের মতো লাল গালিচায় ঘাটলেন উত্তরপ্রদেশের ছোট্ট গ্রামের কন্যা ন্যান্সি ত্যাগী। ১০০০ মিটার কাপড় দিয়ে তৈরি গোলাপি র‍্যাফেল গাউনে নজর করলেন তিনি।

দীর্ঘ এক মাস ধরে হাজার মিটার কাপড় দিয়ে নিজের এমন সুন্দর গাউন তৈরি করেছেন ন্যান্সি। ওই গাউন এর ওজন ছিল কুড়ি কেজি। নামি দামি ফ্যাশন ডিজাইনার কে দিয়ে নিজের এই পোশাক তৈরি করেন নি তিনি। নিজের হাতে সেলাই করে ডিজাইন করে তৈরি করেছেন এই গাউন। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ন্যান্সির লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার্স। এত বড় মঞ্চে নিজের এই প্রতিভা তুলে ধরায় খুশি সকলে। ইংরেজি জানি না বলে হিন্দিতেই কানের রেড কার্পেটে কথা বললেন ন্যান্সি।

আরোও পড়ুন : বডি ‘পিস পিস’ করাই ছিল টার্গেট! কসাই আনা হয় মুম্বাই থেকে, বাংলাদেশের সাংসদ খুনে CID’র ফাঁদে ১

ন্যান্সি এদিন বলেন,”আমি এই গোলাপি গাউনটি তৈরি করতে আমার হৃদয় এবং আত্মা ঢেলে দিয়েছি। আমার ৩০ দিন সময় লেগেছে ১০০০ মিটার কাপড় সেলাই করে ২০ কেজির এই গাউন তৈরিতে। যাত্রাটি কঠিন ছিল, তবে প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান ছিল….এটি একটি স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো এবং আমি আশা করি আমার সৃষ্টি আপনাকে ততটাই চমকে দেবে যতটা আপনার সমর্থন আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।” ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা ন্যান্সির কথা রীতিমতো ভাইরাল। সকলেই কমেন্ট সেকশনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ন্যান্সিকে।

আরোও পড়ুন : ১৬ বছরের পুরনো নেশার জেরেই বাজিমাত! ৩০ টাকার লটারিই ফেরাল সবজি বিক্রেতার ভাগ্য

জনৈক্য ইনস্টাগ্রাম ইউজার প্রশংসা করে লেখেন,”আজকের ইন্টারনেটে সেরা জিনিস, আপনি একজন তারকা।” অন্য একজন লেখেন,”ন্যান্সি, এটা আমার ব্যক্তিগত জয়ের মতো মনে হচ্ছে”। কয়েক বছর আগেও যে মেয়েটা অভাবে ছিল, আজ কানের রেড কার্পেটে। আইএএস হওয়ার স্বপ্ন চোখে নিয়ে দিল্লি এসেছিলেন ন্যান্সি। মা যেহেতু কয়লা খনিতে কাজ করতেন তাই অর্থকষ্ট দূর করার জন্য রোজগারের জেদ চেপে বসে ন্যান্সির মাথায়। লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়া ইনসফ্লুয়েন্সার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

editcannes 11zon

ন্যান্সি ক্যামেরা কিনে নেন পড়াশোনার জন্য জমানো টাকায়। নেচে নেচে ভিডিও বানাতেন বলে অনেকেই তাঁকে কটাক্ষ করতেন। সেলাই না শিখেও মায়ের সেলাই মেশিনের জামা তৈরির কথা মাথায় রেখেই জামা তৈরি করতেন তিনি। এরপরেই নায়িকাদের মতো পোশাক কিভাবে সস্তায় বানানো যায় সেই ভিডিও বানাতে শুরু করেন ন্যান্সি। সেই থেকেই দিল্লির ফ্যাশন ব্লগার ন্যান্সি। এখন তাঁর ইনস্টাগ্রামে প্রায় ৯ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছে। সোনম কাপুর, উরফি জাভেদরা ন্যান্সির এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর