বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ। বাংলার ৪২টির মধ্যে আটটি আসন বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ায় লোকসভা ভোট (Loksabha Vote)। দেব, হিরণ, সৌমিত্র, অগ্নিমিত্রা, জুনের মতো হেভিওয়েটদের ভাগ্য পরীক্ষা আজ। পাশ ফেলের পরীক্ষায় প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও (Abhijit Ganguly)। তমলুক আসন থেকে পদ্মপ্রার্থী তিনি। সামনে প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য। তারও বড় পরীক্ষা আজ।
ভোটের দিন সকাল থেকেই ‘দাবাং’ মেজাজে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ঘড়িতে তখন ভোর সাড়ে ৫টা। ভোট শুরু হতে আরও কিছুটা সময় বাকি। তখনই রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন প্রাক্তন বিচারপতি। বিচারপতির আসন ছেড়ে যোগ দিয়েছেন রাজনীতিতে। এবারই প্রথমবার নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। আর এদিন সকাল থেকেই অ্যাকশন মোড অন।
ভোট শুরু হতে না হতেই পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সরব অভিজিৎ। অভিযোগ, নন্দীগ্রামে ব্যাপক সন্ত্রাস চালাচ্ছে পুলিশ। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিজিৎ বলেন, “গভীর রাতে ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়েছে পুলিশ। ৩-৪ হাজার পুলিশ গাড়ি নিয়ে এলাকায় ঢুকেছিল। পরে অবজারভারের কাছে জানানোরও অনেক পরে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।” পাশাপাশি পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা বাড়ি থেকে পালিয়ে মাঠে-ঘাটে লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন বিজেপি প্রার্থী।
আরও পড়ুন: হাই কোর্টে ‘রুটিন’ পরিবর্তন, এবার কোন মামলা শুনবেন বিচারপতি সিনহা? SSC-র শুনানি কোথায়?
এরপরই হলদিয়ায় ২০৮ নম্বর বুথে অভিযোগ পেয়ে ছুটে যান অভিজিৎ। বিজেপির মহিলা এজেন্টকে বসতে না দেওয়ায় সেখানে যান অভিজিৎ। এরপর তিনি গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বললে ওই মহিলা এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় অভিজিৎকে। বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী বাঁশি বাজাচ্ছিল, শ্যামের বাঁশি।” কেবল অভিজিৎই নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণও।