‘TMC ও CPIM-এর পার্টি অফিস বন্ধ হোক..,’ যাদবপুরের ভোটের আগেই বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী ১ জুন সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। বর্তমানে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। বাংলার নয় আসনে ভোট রয়েছে সেদিন। তালিকায় রয়েছে যাদবপুরও (Jadavpur)। এবার সেই লোকসভা কেন্দ্রেরই একটি বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে থাকা তৃণমূল ও সিপিএমের অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ।

কিভাবে বুথের কাছেই তৃণমূল ও সিপিএমের অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়? এই নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা ধীমান কুণ্ডু। সাধারণত বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনওভাবেই অস্থায়ী পার্টি অফিস করা যায় না। বুথের খুব কাছেই অস্থায়ী কার্যালয় থাকায় সেখান থেকে ভোটে প্রভাবিত করা হতে পারে। এই আশঙ্কা নিয়েই হাইকোর্টে মামলা করেন ধীমান কুণ্ডু।

মামলাকারী বিজেপি নেতার দাবি ছিল, যাতে কোনোভাবেই ভোট প্রভাবিত না করা হয় তাই অবিলম্বে ওই অস্থায়ী কার্যালয়গুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হোক। এদিন হাইকোর্টে মামলা উঠলে বিচারপতি সাফ জানান, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনোভাবেই কোনও পার্টি অফিস থাকতে পারে না।

এরপর প্রথমে সেই রাজনৈতিক দলের অস্থায়ী কার্যালয়গুলি ভেঙে ফেলা উচিত বললেও পরে ওই নির্মাণগুলিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাইকোর্টের নির্দেশ, ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে ওই বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনওভাবেই অস্থায়ী রাজনৈতিক দলের কার্যালয় থাকা চলবে না।

Calcutta High Court cancels recruitment of a Group D staff in a school in Jhargram

আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্ৰিয় অতীত! রেশন দুর্নীতি মামলায় এবার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণাকে তলব ED-র, শোরগোল রাজ্যে

মামলার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় জানান, যত দ্রুত সম্ভব কমিশনের উচিৎ ওই নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলা। আদালতে কমিশনের আইনজীবী জানান, কমিশন নির্মাণ ভাঙার কাজ করে না। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক নির্মাণ ভাঙতে পারেন। পরে অবশ্য নির্মাণ ভাঙার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন বিচারপতি। আপাতত তৃণমূল ও সিপিএমের ওই অস্থায়ী পার্টি অফিসগুলি যাতে অবিলম্বে বন্ধ করা হয় সেই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর