বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৪ লোকসভা নির্বাচনে বাংলার হাইভোল্টেজ কেন্দ্র গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল ঘাটাল (Ghatal)। এই কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। কখনও তৃণমূল প্রার্থী দেবের (Dev) নিশানায় বিজেপি ক্যান্ডিডেট হিরণ (Hiran Chatterjee)। কখনও বা উল্টো চিত্র। আর ভোটের দিন সেই আক্রমণ, অভিযোগ যেন আলাদা মাত্রা নেয়।
ষষ্ঠ দফা ভোটের দিন বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের কেশপুর। শাসকদল সেই জায়গাকে পাকিস্তান বানিয়ে রেখেছে বলেও দাবি করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরন চট্টোপাধ্যায়। আর এবার স্ট্রংরুম পরিদর্শনে গিয়ে কেশপুরের প্রসঙ্গে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা শোনা গেল গেরুয়া শিবিরের তারকা প্রার্থী হিরণ।
বুধবার ঘাটাল লোকসভার স্ট্রং রুম পরিদর্শনে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন হিরণ। বিধায়ক বলেন, “কেশপুরের অন্তত ২০০ টি বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেয় নি তৃণমূল। খুললাম খুললাম ছাপ্পা মেরেছে ওরা। এই নিয়ে কমিশনেও অভিযোগ জানিয়েছি। তবে এখনও কোনো সদুত্তর আসেনি।”
এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে হিরণ বলেন, “এই সন্ত্রাস বরদাস্ত করব না, দলের সঙ্গে কথা বলেছি, প্রয়োজনে এই নিয়ে হাইকোর্টে যাব।”
ভোটের দিন নিজের কেন্দ্রে গিয়ে বারংবার তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়েন হিরণ। সেই সময় পুলিশ ও শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। ঘাটালের হটস্পট বলা যেতে পারে কেশপুরকে। গত নির্বাচনে বিরাট ব্যাবধানে দেবের যে জয়, তার পেছনে কেশপুরের বড় ভূমিকা ছিল বলে দাবি বিজেপির।
আরও পড়ুন: হঠাৎ বদলে যাবে আবহাওয়া! দু’ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস ৫ জেলায়: আবহাওয়ার খবর
এবারে অশান্তি এড়াতে বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মজুত ছিল কেশপুরে। তবে হিরণের অভিযোগ, ভোটের দিন রাজ্য পুলিশকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল বাহিনীকে বিভ্রান্ত করে বুথের পর বুথে ছাপ্পা মারার চেষ্টা করেছে। এদিন হিরণ আরও বলেন, “কেশপুরের সেই সন্ত্রাস এখনও বন্ধ হয়নি। তৃণমূলের হাত ধরে তা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।”
ওদিকে বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেব। তার কথায়, “গোটা ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে হয়েছে, এরপরও সন্ত্রাসের কথা বললে সেটা সত্যিই হাস্যকর!”