পাকিস্তানের GDP-র চেয়ে ২.৫ গুণ বড় RBI-এর ব্যালেন্স শিট, ১ বছরে বৃদ্ধি ১১%

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত অর্থবর্ষের শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ, ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হিসেব অনুযায়ী RBI (Reserve Bank Of India) তথা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ব্যালেন্স শিটের আকার ১১.০৮ শতাংশ বেড়ে ৭০.৪৮ লক্ষ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (International Monetary Fund) অনুমান করেছে যে পড়শি দেশ পাকিস্তানের (Pakistan) মোট GDP-র পরিমাণ হল ৩৩৮.২৪ বিলিয়ন ডলার। এমতাবস্থায়, ডলারের নিরিখে RBI-এর ব্যালেন্স শিটের আকার হল ৮৪৪.৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে, ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ব্যালেন্স শিটের আকার পাকিস্তানের সমগ্র GDP-র প্রায় আড়াই গুণ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ব্যালেন্স শিট ছিল ৬৪.৪৪ লক্ষ কোটি টাকার। এমতাবস্থায়, এই ব্যালেন্স শিটের আকার ১১.০৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এটি ৭০.৪৮ লক্ষ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এটি ভারতের মোট GDP-র ২৪.১ শতাংশ।

   

 RBI's balance sheet is 2.5 times larger than Pakistan's GDP.

এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তাদের আয় ১৭.০৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ব্যয়ের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে ৫৬.৩০ শতাংশ। এছাড়াও, RBI-এর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে, ২০২৫ অর্থবর্ষে ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে ভারতের প্রকৃত GDP-র হার। এর পাশাপাশি, আগামী এক দশকে ভারতের অর্থনীতি স্থিতিশীল ভাবে এগোতে থাকবে বলেও জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ছিলেন ওয়েটার, আজ ধনকুবের! আম্বানি-আদানির চিন্তা বাড়িয়ে ধনীদের তালিকায় চমক দেখালেন ব্যক্তি

বাড়ছে চিন্তা: তবে, RBI-এর ব্যালেন্স শিটে স্বস্তি এবং GDP বাড়লেও চিন্তার কারণ একটা থেকেই গিয়েছে। আর সেটা হল মুদ্রাস্ফীতি। কিছুদিন আগেই প্রকাশিত কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার গত ১ বছরে বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে গিয়েছে ১.৩ শতাংশে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের তুলনায় ২০২৪ সালের এপ্রিলে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে ১.৩ শতাংশ। এদিকে, এর আগে মার্চ মাসে দেশের এই হার ০.৫ শতাংশ বেড়েছিল।

আরও পড়ুন: একাধিক শিক্ষকের “Bed Performance”-এ অসন্তুষ্ট শিক্ষা দপ্তর! কেটে নেওয়া হল বেতন

পাশাপাশি, পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত ১১ মাসের মধ্যে এপ্রিলে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার। তথ্য অনুযায়ী, দেশে এপ্রিলের খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৪.৮ শতাংশ। যার মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.৪ শতাংশ। পাশাপাশি, শহুরে এলাকার ক্ষেত্রে এই হার ছিল মাত্র ৪.১ শতাংশ। এদিকে, এর আগে মার্চে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৯ শতাংশ ছিল বলেও জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর