এবার থেকে আর এই কাজ করতে পারবেন না শিক্ষকেরা! হঠাৎ জারি হল নির্দেশিকা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ষষ্ঠ দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। আগামীকাল ১ জুন সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Vote)। ৪ জুন ভোটগণনা। আর তার আগেই ভোটগণনার কাজে ‘কাউন্টিং এজেন্ট’ (Counting Agent) হিসাবে কোনও শিক্ষককে নিয়োগ (Government Teachers) করা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন।

৩০ মে বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা জারি করে কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের কোনও সরকারি এবং সরকারপোষিত স্কুলে কর্মরত স্থায়ী বা অস্থায়ী শিক্ষকদের ভোটগণনার সময়ে ‘কাউন্টিং এজেন্ট’ হিসাবে নিয়োগ করা যাবে না। অর্থাৎ এবার ভোটগণনার কাজে শিক্ষকদের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন।

ভোটগণনার কাজে বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়ে থাকে। তবে এবার তা করা যাবে না। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষক সহ কোনও সরকারি কর্মচারীকেই ‘কাউন্টিং এজেন্ট’ হিসাবে নিয়োগ করা যায় না। তার পর নিয়মিত অমান্য করে কোথাও কোথাও শিক্ষকদের এই কাজে নিয়োগ করা হত বলে অভিযোগ।

এবার ভোটের শেষলগ্নে এসে ‘কাউন্টিং এজেন্ট’ এর বিষয়টি স্পষ্ট করে নতুন নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। জানিয়ে রাখি, কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ভোটগণনার সময়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারের তত্ত্বাবধানে এবং নির্দেশে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের উপস্থিতিতে গণনার কাজ চলে। কিন্তু একাধিক জায়গায় সেই নিয়মিত মানা হয় না।

West Bengal Lok Sabha Election third phase 361 complaints to Election Commission of India ECI

আরও পড়ুন: ‘বড় হওয়ার সহজ উপায়…’, সতীর্থ ঋতুপর্ণাকে ED তলব করতেই বিস্ফোরক শ্রীলেখা

বিভিন্ন জায়গায় গণনার কাজ হয়ে থাকে। সেই কারণে প্রার্থীর একার পক্ষে একই সময়ে সব জায়গায় উপস্থিত থাকা সম্ভব হয় না। সেই কারণে তারা নিজেদের পক্ষে ‘কাউন্টিং এজেন্ট’ নিয়োগ করে তারা সেই কাজ করে থাকেন। প্রার্থী দ্বারা নিযুক্ত এজেন্টরা তাদের প্রতিনিধি হয়ে নির্দিষ্ট গণনাকেন্দ্রে ভোটগণনার কাজ পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। তবে এই কাজে কোনো সরকারি কর্মচারী নিযুক্ত থাকলে তার নিরপেক্ষতায় প্রশ্ন থাকে। তাই এবার ‘কাউন্টিং এজেন্ট’ হিসেবে কোনো সরকারি কিংবা সরকারপোষিত স্কুলের শিক্ষকদের নিয়োগ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর