বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশবাসীর জন্য বৃহত্তর স্বার্থে ইতিমধ্যেই একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর আবার দেশবাসীকে বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার জন্য ‘পিএম বাণী’ প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী ওয়াই-ফাই অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক ইনিশিয়েটিভ স্কিম বা পিএম বানিয়ে যোজনা সরকারি প্রকল্প চালু হলে সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূলের চালু করা হবে ওয়াইফাই পরিষেবা। যার মাধ্যমে সকলেই বিনামূল্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন।
জানা যাচ্ছে, দেশের মোট ২২ টি রাজ্যের ২,৩৮৪ টি ওয়াইফাই হটস্পট সহ ১০০ টি রেলস্টেশনে এই বিনামূল্যের ওয়াইফরাই ব্যবহার করা যাবে। এই প্রকল্পের অধীনে দেশের ১ কোটি ডাটা সেন্টার এবং পাবলিক ডেটা অফিস খোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে কী কী উপকার পাওয়া যাবে?
১) সারা দেশে পাবলিক ডেটা সেন্টার খোলা হবে। তার জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি লাগবে না।
২) গ্রামাঞ্চলেও দ্রুতগতির ডেটা পরিষেবা পাওয়া যাবে।
৩) এই ফ্রি স্কিমের মাধ্যমে অনেকের ব্যবসাতেও উন্নতি হবে।
4) আয়ের বাড়ার সাথে সাথেই কর্মসংস্থান এবং জীবনযাত্রার উন্নতি হবে।
৫) আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সাবমেরিন অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: রক্ত কিংবা কিডনি নয়! প্রেমিকা ডোনেট করার আবদার যুবকের, আলিপুরদুয়ারে আজব কাণ্ড
কীভাবে এই সুবিধা পাওয়া যাবে?
১) যে কোনও দোকানকেই একটি ডেটা অফিসে রূপান্তরিত করা যাবে।
২) মাত্র ৭ দিনের মধ্যে সরকার ডেটা অফিস, ডেটা অ্যাগ্রিগেটর, অ্যাপ সিস্টেমের কেন্দ্র খোলার অনুমতি দেবে।
৪) পাবলিক ডেটা অ্যাগ্রিগেটরের কাজ হল অনুমোদন এবং অ্যাকাউন্টিং দেখাশোনা করা।
৪) তবে এই পাবলিক ডেটা অফিসের জন্য লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন কিংবা কোনও ফি লাগবে না।
৫) একটি পাবলিক ডেটা অফিস খোলার জন্য একটি বৈধ মোবাইল নম্বর থাকা জরুরি হয়ে থাকে।
তিনটি পর্যায়ে এই ফ্রি ওয়াইফাই পাওয়া যেতে পারে।
১) ব্যবসায়ীরা Airtel, Jio বা অন্য কোনও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা নিতে পারবেন। তবে তার জন্য চারপাশে সেই কোম্পানির Wi-Fi থাকা জরুরি।
২) সবাইকে বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেওয়ার জন্য পাবলিক ডেটা অফিস স্থাপন করতে হবে।
৩) এছাড়া সাধারণ নাগরিকরা একটি অ্যাপের মাধ্যমেই এই বিনামূল্যের ওয়াই-ফাই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
কারা ফ্রি Wifi পাবেন?
১) যে কোনো ভারতীয় নাগরিক এই সুবিধা পাবেন।
২) ভারতীয় যে কোনো সংস্থাই পিএম বাণী স্কিমের সুবিধা পাবেন।
৩) ভারতের যে কোনও নিবন্ধিত ব্যবসাও এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।
প্রয়োজনীয় নথি
১) আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি পরিচয়পত্র।
২) ঠিকানার প্রমান স্বরূপ প্রয়োজন রেশন কার্ড, বিদ্যুৎ বিল, টেলিফোন বিল ইত্যাদি।
৩) যিনি যে সংস্থায় কর্মরত কিংবা যে ব্যবসার সাথে যুক্ত তার বৈধ প্রমাণ জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: কলেজে ভর্তির নতুন নিয়ম! এক পোর্টালেই সব কলেজে আবেদন, কিভাবে? জানুন সঠিক পদ্ধতি
অনলাইন আবেদন করার পদ্ধতি:
১) প্রথমে PM-WANI ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২) এরপর ক্লিক করতে হবে রেজিস্ট্রেশন অপশনে।
৩) পরবর্তী ধাপে আধার নম্বর কিংবা মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
৪) এরপর মোবাইলে যে OTP আসবে, সেটিও লিখতে হবে।
৫) অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে।
৬) এরপর সমস্ত নথি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
৭) সবশেষে সমস্ত তথ্য পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।