বাংলাহান্ট ডেস্ক : শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে অন্যতম এক মহীরুহ। তবে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঙালি সব থেকে বেশি মনে রেখেছে ব্যোমকেশ স্রষ্টা হিসাবে। তাঁর রচিত বিভিন্ন ব্যোমকেশ কাহিনী আজও প্রতিটা মুহূর্তে আমাদের শিহরিত করে। সেই কাহিনীতে বর্ণিত বিভিন্ন অপরাধের ধরণ বা ঘটনা কখনো কখনো মিলে যায় বাস্তবের সাথেও। ব্যোমকেশ পাঠকরা অবশ্যই ‘লোহার বিস্কুট’ গল্পটি পড়েছেন।
সেই গল্পে আমরা দেখতে পেয়েছিলাম, অক্ষয় মন্ডল নামের প্রধান ষড়যন্ত্রকারী চোরাই সোনা লুকিয়ে রেখেছিল ছাদের জলের ট্যাঙ্কে। গল্পের শেষে সে ছিপ দিয়ে জলের ট্যাঙ্ক থেকে সোনা তুলতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় হাতেনাতে। তবে এবার এই ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা না ঘটলেও, নিউ ইয়র্কের এক দম্পতির সাথে ঘটে গেছে অনেকটা এমনই ঘটনা। রাতারাতি এভাবে যে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে তা তারা নিজেরা কখনো কল্পনাও করেননি।
আরোও পড়ুন : আর কী ‘দিদি নম্বর ১’ মঞ্চে ফিরবেন রচনা? এবার অবশ্য সত্যিটা জানিয়ে দিলেন অভিনেত্রী নিজেই
এই দম্পতি নিয়মিত মাছ ধরতে যেতেন নিউ ইয়র্কের (New York) একটি লেকে। মাছ ধরার জন্য যে বড়শিঁ ছিল তাতে তারা লাগিয়ে রাখেন চুম্বক। অনেক সময় এই চুম্বকের কারণে নদী থেকে অনেক কিছুই উঠে আসে। নিউ ইয়র্কের কোরোনা পার্কের এই লেকে এদিন এই দম্পতি মাছ ধরতে এসেছিলেন। তবে জেমস কেনে ও বারবি আগোসতানি মাছ ধরতে এসে একেবারে কোটিপতি হয়ে গেলেন।
মাছ ধরার উদ্দেশ্যে তারা বড়শিঁতে চুম্বক লাগিয়ে নদীতে ফেলেন। আর তখনই সেই চুম্বকের আকর্ষণে উঠে আসে একটি লোহার বাক্স। অতি উৎসাহের সাথে সেই বাক্স খুলতে তারা দেখেন তাতে রয়েছে ১ লক্ষ ডলার, যা ভারতীয় টাকার ৮৩ লাখ টাকা! মাছ ধরতে এসে এভাবে যে তাদের ভাগ্যটাই পাল্টে যাবে তা কখনো চিন্তাই করেননি নিউ ইয়র্কের এই দম্পতি।