বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের উত্তাপ এখনও কমেনি। এরই মাঝে শিরোনামে নারদ মামলা (Narada sting operation)। নারদ মামলায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও বিধায়ক মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হল না? আদালতে এই প্রশ্ন তুলে তোলপাড় ফেললেন বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জার আইনজীবী শ্যামল ঘোষ। কেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই দুই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিল না? প্রশ্ন আইনজীবীর।
জানিয়ে রাখি, এই নারদ কাণ্ডে নাম জড়ানোয়
তৎকালীন বর্ধমানের পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জাকে সাসপেন্ড করা হয়। এরপর এই মামলায় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মির্জাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ৫০ দিনের বেশি জেল খাটতে হয়েছিল তাকে। এবার সেই অভিযুক্তই অপর দুই অভিযুক্তকে নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আদালতে।
নারদ কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়ের মতো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইডি ঠিক কী পদক্ষেপ করেছে এর উত্তর জানতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এসএমএইচ মির্জা। এদিকে এরপরই বিচারক ইডি-কে প্রশ্ন করেন, বাকিদের বিরুদ্ধে তদন্ত কতদূর? আদালতে মির্জার দাবি,”মুকুল রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি অভিযুক্ত। ওনার বিরুদ্ধে কী তদন্ত হচ্ছে? বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী তদন্ত হচ্ছে? শুধু আমরা ভুগছি।”
প্রসঙ্গত, নারদ স্টিং অপারেশন কাণ্ডে মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই। সেই সময় কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, বর্তমান মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রয়াত সাংসদ সুলতান আহমেদ, বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ সৌগত রায়, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, প্রাক্তন পুরকর্তা ইকবাল আহমেদ, প্রাক্তন সাংসদ মুকুল রায় এবং পুলিশকর্তা মির্জা সহ বর্তমান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম সামনে আসে অভিযুক্ত হিসেবে।
আরও পড়ুন: এখনও খুলছে না বহু স্কুল, এবার মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে, শুনবেন প্রধান বিচারপতি
তবে বর্তমানে ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সুলতান আহমেদ ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম তাদের মৃত্যুর পর এই তালিকা থেকে মোছা হয়েছে। নারদ কাণ্ডে ২০২১ সালে, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভনকে গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই। যদিও পরে সকলে জামিনে মুক্তি পান।
এই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও কেন মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হল না। কেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি বাকি অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থার কী পদক্ষেপ এই সমস্ত কিছু জানতে চেয়েছেন এসএমএইচ মির্জার আইনজীবী। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৮ অগাস্ট।