বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে পড়শি দেশ পাকিস্তানে (Pakistan) একের পর এক রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটছে। সেই রেশ বজায় রেখেই গত রবিবার পাকিস্তানের অশান্ত খাইবার পাখতুনখোয়ার (Khyber Pakhtunkhwa) লাক্কি মারওয়াত জেলায় আরও একটি ভয়াবহ হামলা ঘটে। যেখানে বোমা বিস্ফোরণে ১ জন ক্যাপ্টেন সহ মোট ৭ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই অঞ্চলটি আফগানিস্তানের (Afghanistan) সীমান্তের কাছে অবস্থিত। জানা গিয়েছে, কাচি কামরের দিকে একটি সিকিউরিটি কনভয় যাওয়ার সময়ে সন্ত্রাসবাদীরা সেখানে হামলা চালায়।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, প্রথমে জঙ্গিরা সেনা আধিকারিকদের লক্ষ্য করে IED বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তারপরে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এমতাবস্থায়, সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, সামরিক গাড়ির কাছেই IED বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। যেখানে ১ জন আধিকারিকসহ ৭ জন সেনা প্রাণ হারান। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, “ওই এলাকায় উপস্থিত সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করতে সমগ্র এলাকাটিতে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং এই জঘন্য কাজের পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধীদের বিচারের আয়তায় আনা হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পাকিস্তান এবং চিন যৌথভাবে আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য তার ভূখণ্ড ব্যবহার করতে না দেওয়াসহ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানানোর পরেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার না করলেও ওই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তের উভয় পাশে তৎপরতা চালানো ইসলামিক জঙ্গিদের ঘাঁটি হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: শুধু ICC-র সবুজ সংকেতের অপেক্ষা! ফের মোকাবিলা হবে ভারত-পাকিস্তানের, সামনে এল দিনক্ষণ
এদিকে, কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সমন্বয়ে গঠিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP) সরকার উৎখাতের চেষ্টায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। জানিয়ে রাখি যে, আল কায়দার ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা এই গোষ্ঠীটি ২০০৯ সালে সেনা সদর দপ্তরে হামলা থেকে শুরু করে সামরিক ঘাঁটিতে হামলা এবং ২০০৮ সালে ইসলাম আমাদের ম্যারিয়ট হোটেলে বোমা হামলা সহ সমগ্র পাকিস্তান জুড়ে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলার জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: “একটা সময়ে মনে হয়েছিল….”, কীভাবে ঘুরল ম্যাচ? পাকিস্তানকে হারিয়ে মুখ খুললেন বুমরাহ
উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানের তালিবানের ক্ষমতা দখল TTP-কে অত্যন্ত উৎসাহিত করেছে। পাশাপাশি ওই গ্রুপের, শীর্ষ নেতৃত্বরা আফগানিস্তানে লুকিয়ে রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, গত বছরের জানুয়ারিতে TTP জঙ্গিরা পেশোয়ার একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত পুলিশ কম্পাউন্ডের ভেতরে থাকা একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে কমপক্ষে ১০০ জন নিরাপত্তা কর্মী প্রাণ হারিয়েছিলেন।