বাংলা হান্ট ডেস্ক: হাতে আছে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই মহাসমারোহে ধুমধাম করে বেরোবে জগন্নাথদেবের (Jagannath Dev) রথযাত্রা (Rath Yatra)। আগামী মাসের ৭ জুলাই পড়েছে এবছরের রথযাত্রা। তাই রথের আগে এই মুহূর্তে বার বার চোখের সামনে ভাসছে পুরির (Puri) সেই উপচে পড়া ভিড়ের ছবি। লোকে লোকারণ্য শ্রী ক্ষেত্রে জগন্নাথ দেবের রথের সামনে লুটিয়ে পড়ছেন ভক্তরা। এটাই প্রতি রথে পুরীর চেনা ছবি।
আর এবার পুরির মতোই জগন্নাথ দেবের তীর্থক্ষেত্র হয়ে উঠতে চলেছে বাংলার দিঘা (Digha)। তাই ইতিমধ্যেই রাজস্থান থেকে জগন্নাথ দেবের বিগ্রহ এসে পৌঁছেছে বাংলায়। যা এই মুহূর্তে রাখা রয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে। অবিকল পুরির জগন্নাথ, সুভদ্রা এবং বলভদ্রের মতোই মূর্তি তৈরি হয়ে এসেছে রাজস্থান থেকে। সব ঠিক থাকলে এ বছর বর্ষা শেষেই একটা শুভ দিন দেখে শুধু প্রতিষ্ঠা করা হবে অন্তর্যামীকে।
তারপর আগামী বছরের রথযাত্রায় জগন্নাথ দেবের মন্দিরের দ্বার খুলে যাবে সৈকত শহর দীঘাতেও। আগামী দিনে দিঘার এই জগন্নাথ ধামকে কেন্দ্র করে তৈরি হতে চলেছে বিশ্ব সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। আগামীদিনে বিশ্বের সমস্ত প্রান্তের ধাম, সংস্কৃতি, লোকসংস্কৃতি সব কিছুর উপর গবেষণা করার ব্যবস্থা করা হবে এই কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: শুধু সুদের টাকাই ৪.৫ লক্ষ! রয়েছে কর ছাড়, পোস্ট অফিসের এই স্কিম সম্পর্কে না জানলেই বিরাট লস
তার জন্য তৈরী করা হবে বিশ্বমানের গবেষক আবাস, গ্রন্থাগার, সংগ্রহশালা প্রভৃতি। বই থেকে শুরু করে ডিজিটাল তথ্য সব কিছুর আঁধার হবে সেই গ্রন্থাগার। আর দিঘার এই মন্দিরে পুরির জগন্নাথ মন্দিরের সমস্ত বিধি মেনেই পুজো করা হবে। পুরিতে মহাপ্রভুর ভোগ বিতরণের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। তাই দিঘার মন্দিরেও ভোগের জন্য তৈরী হচ্ছে আলাদা জায়গা। এমনকি পুরির মন্দিরের তুলনায় নাকি এক্ষেত্রে দিঘায় মিলবে কিছু বাড়তি সুবিধাও।
প্রসঙ্গত সকলেই জানেন পুরিতে মন্দিরের ধ্বজা বদল করা বিশেষ পদ্ধতিতে। তবে জানা যাচ্ছে দিঘায় ধ্বজা বদল হবে রোজই। কিন্তু অন্য প্রক্রিয়ায়। রাজ্যে জগন্নাথ দেবের বিগ্রহ এসে পৌঁছনোর পর তা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে। জানা যাচ্ছে দিঘার মন্দির সম্পূর্ণ হলে নির্দিষ্ট সময় সেই বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা হবে। এই মুহূর্তে দিঘায় যে পুরনো জগন্নাথ মন্দির রয়েছে, সেটিই আগামী দিনে জগন্নাথের প্রতীকী মাসির বাড়ি বলে ঠিক করা হয়েছে।