বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের একটি চাঞ্চল্যকর বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে পাকিস্তান (Pakistan)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তান সরকার জনগণের স্বাধীনতার কন্ঠরোধ করার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। মূলত, পাকিস্তান সরকার Facebook, YouTube, WhatsApp এবং X-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে আসা কনটেন্ট নিরীক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতে সারা দেশে একটি ইন্টারনেট ফায়ারওয়াল সিস্টেম প্রয়োগ করছে।
এর মাধ্যমে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিটি আওয়াজের ওপর নজর রাখবে পাকিস্তান সরকার। শুধু তাই নয়, সরকার চাইলেই যেকোনো পোস্ট বা কনটেন্ট ব্লক করতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। সবথেকে অবাক করা বিষয় হল, পাকিস্তান তার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী চিনের আদলে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। TOI-এর রিপোর্ট অনুসারে, এই বিষয়ে জ্ঞাত সূত্র বিষয়টি উপস্থাপিত করেছে বলে জানানো হয়েছে।
বলা হয়েছে যে, এই ইন্টারনেট ফায়ারওয়াল সেই একই চিন্তাভাবনার ফল যার মাধ্যমে চিন তার দেশে ইন্টারনেট কনটেন্ট পর্যবেক্ষণ করে। চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তানে “X” সাময়িকভাবে ব্লক করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যদিও, পাকিস্তান জানিয়েছে এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল সেইসব “অপ্রয়োজনীয় এবং ভুল কনটেন্ট” ছড়ানো বন্ধ করা, যেগুলির মধ্যে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কনটেন্ট রয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার হবে টাকার বৃষ্টি! TreasureNFT-র মাধ্যমে করুন স্বপ্নপূরণ, খুলে গেল উপার্জনের নতুন দিগন্ত
গভীরভাবে কনটেন্ট বিশ্লেষণ: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এই ইন্টারনেট ফায়ারওয়াল ডেটা প্যাকেট পরীক্ষা করতে এবং প্রচারমূলক কন্টেন্টের উৎস শনাক্ত করতে ডিপ প্যাকেট পরিদর্শন (DPI) প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বলে জানা গেছে। DPI অ্যাপ্লিকেশন লেয়ার পর্যন্ত ডেটা নিরীক্ষণ করতে পারে। যার ফলে কনটেন্টের আরও বিশদ বিশ্লেষণ সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: জুনে টানা ৪ দিন বন্ধ ব্যাঙ্ক, লিস্ট জারি করল RBI, বিপদে পড়ার আগেই জানুন তারিখ
এদিকে, সামগ্রিকভাবে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তান সরকারের লক্ষ্য হল অবাঞ্ছিত” হিসেবে বিবেচিত কনটেন্টকে চিহ্নিত করা এবং ব্লক করা। যেগুলির মধ্যে সম্ভাব্যভাবে ধর্মীয় নিন্দা, ঘৃণামূলক বক্তব্য বা রাষ্ট্রের সমালোচনামূলক কনটেন্ট সামিল রয়েছে।