তিলক কেটে স্কুলে আসতেই ছাত্রীর ওপর চোটপাট শিক্ষিকার! ফতোয়া ঘিরে বিক্ষোভ মুর্শিদাবাদে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: তিলক কেটে স্কুলে যাওয়ায় স্কুল শিক্ষিকার চোখ রাঙানির  মুখে এক ছাত্রী। তিলক কাটার ওপর জারি হওয়া ফতোয়া ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে অভিভাবকদের মধ্যেও। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ের (Bahrampur Raghunathganj Girls High School ) এক ছাত্রী (Student) তিলক কেটে (Draw Tilak) স্কুলে যাওয়ায় তার ওপর আচমকাই চোটপাট করতে শুরু করেন একজন স্কুল শিক্ষিকা।

শুধু তাই নয় অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে সামনে পেয়েই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন স্কুলে তিলক কেটে আসা যাবেনা। যদি ওই স্কুল শিক্ষিকার তিলক কাটা নিয়ে এমন ফতোয়া প্রত্যাহারের দাবীতে সরব হয়েছেন অভিভাবকরা। অন্যদিকে তিলক কাটা নিয়ে এমন কোনো সরকারি বিধি-নিষেধ নেই বলেও জানিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমরকুমার শীল।

   

মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ স্কুলের ওই ছাত্রীর অভিযোগ, ‘গরমের ছুটির আগে বলা হয়েছিল তিলক কেটে স্কুলে আসা যাবে না। গরমের ছুটির পর স্কুলে এসেছি, ম্যাডাম বললেন বারণ করার পরেও কেন তিলক কেটে স্কুলে এসেছিস? আমি বললাম, বাবা মা বলেছেন, তাই তিলক কেটে এসেছি। ম্যাডামকে বললাম, তিলক কেটে যে স্কুলে আসা যাবে না, সেটা লিখিতিভাবে সই করে দিন। ম্যাডাম সই করে দেননি। আমায় অনেক কথা বললেন। ভয়ে আমার হাত পা কাঁপছিল।’

আরও পড়ুন: বাতিল হয়ে যাবে আধার কার্ড? সামনে এলো আরও বড় এক সরকারি ঘোষণা

কিন্তু তিলক কাটলে সমস্যাটাই বা কোথায়? জবাবে ওই ছাত্রীকে দেওয়া শিক্ষিকার অদ্ভুত যুক্তি, তার নাকি চোখে লাগে, আর সেই কারণেই তিনি তিলক কাটতে বারণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এদিন আক্ষেপের সুরেই ওই ছাত্রীর আরও সংযোজন, ‘এখানে সবাইকে মিড ডে মিল খেতে বলা হয়েছে। কিন্তু নিরামিষ খাবার হয় না, তাই আমি খাই না।’

murshidabad

যদিও এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা করবী নন্দীও এই তিলক কাটার ফতোয়া মানতে নারাজ। তিনি বলেছেন, ‘বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা নাকি ওই ছাত্রীকে তিলক পরে আসতে নিষেধ করেছিলেন। কেউ নিজের ধর্ম পালন করতে পারবে না, এমন কোনও নিয়ম নেই। এমন কেউ বারণ করেছে বলে আমার মনেও হয় না।’ এই খবর জানাজানি হতেই স্কুলের সামনে খোল করতাল বাজিয়ে বিক্ষোভে দেখান অভিভাবকদের একাংশ।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর