আর্মস্ট্রংরা নাকি চাঁদে যাননি! সামনে এলো ভয়ংকর সত্যি! পুরোটাই কি ষড়যন্ত্র?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মানুষ নাকি কখনো চাঁদেই যায়নি। এদিকে মার্কিন নভোচারী নীল আর্মস্ট্রং (Neil Armstrong) প্রথমবার চাঁদের বুকে পা রাখেন ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ সেই দৃশ্য নিজের চোখে দেখেছেন। তবুও বহু মানুষ রয়েছেন যারা মানতেই নারাজ, মানুষ কখনো চাঁদে গেছে। এই বিষয়ে গবেষণা করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা।

তাতেই মানুষের চাঁদে যাওয়ার বিষয়টিকে সাজানো ঘটনা বলে মনে করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় পাঁচ শতাংশ মানুষ। মানুষ যে চাঁদে যায়নি, এমন বিশ্বাস করা মানুষের সংখ্যা কম হলেও তাতে অবিশ্বাসের বীজ বপন করার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, তাদের এই অবিশ্বাসের পক্ষে রয়েছে বেশ কিছু যুক্তি।

আরোও পড়ুন : এ যেন বিদেশ! বিশ্বমানের রেলস্টেশন হবে বান্ডেল, কতদিন লাগবে কাজ শেষ হতে? তদারকিতে অশ্বিনী বৈষ্ণব

তাঁদের মতে, চাঁদের সফল অভিযানের জন্য যেমন প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ প্রয়োজন ছিল, তেমন কোন প্রযুক্তি সেই সময়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কাছে ছিল না। তাই নাসা বুঝে গিয়েছিল তাদের অভিযান সফল হবে না। সোভিয়েত ইউনিয়ন যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে মহাকাশ অভিযানে এগিয়েছিল, তাই টেক্কা দিতে চাঁদে সফল অভিযান নিয়ে নাটক করেছিল নাসা।

আরোও পড়ুন : দুর্গাপুজো অবধি বাংলায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী? রাজ্যপালের কাছে বিরাট আর্জি শুভেন্দুর, সায় মিলল?

চাঁদের মাটিতে পদার্পণ করার পর যখন পৃথিবীতে ফিরে এসেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং, সেই সময় থেকেই ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত সন্দেহ ছড়াতে থাকে চারিদিকে। তবে গুজবে নিয়ে ১৯৭৬ সালে সাংবাদিক বিল কেসিং “উই নেভার ওয়েন্ট টু মুন: আমেরিকাস থার্টি বিলিয়ন ডলার সুইন্ডল” নামে একটি বই প্রকাশ করেন। সেই বইতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মানুষ কখনো চাঁদে যায়নি।

তিন হাজার কোটি ডলারের প্রবঞ্চনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সঙ্গে কিছু ছবি দিয়ে উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন ওই লেখক। অবিশ্বাসীদের প্রশ্ন, চাঁদে বাতাস নেই, তবে মার্কিন পতাকা সেখানে কিভাবে উড়লো? চাঁদের আকাশে কোন তারামণ্ডল কেন পরিলক্ষিত হচ্ছে না? তবে এই ষড়যন্ত্র কে নাকোচ করে দেওয়ার জন্য বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক যুক্তি রয়েছে।

science 4 2024 06 101ec96386c0fd557c588b0da0383949

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার মাইকেল রিক বলেন, নীল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন পতাকাটি চাঁদের মাটিতে লাগানোর সময় সেটি কুঁচকে যায়। পৃথিবীর তুলনায় চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ছয় গুণ কম হওয়ার কারণে কুঁচকানো পতাকাটি একই রকম ভাবে থেকে গেছে। যতই ষড়যন্ত্র থাক না কেন, এখনো পর্যন্ত সারা বিশ্ববাসী নীল আর্মস্ট্রংকেই চাঁদে পদার্পণকারী প্রথম মানুষ হিসেবে স্মরণ করে থাকেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর