বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবার একটা জুন মাস, ফের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) সাক্ষী দেশবাসী। রবিবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ নিউ জলপাইগুড়ি এনজেপি স্টেশনের আগে রাঙাপানির কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kolkata Sealdah Kanchanjungha Express) এবং মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ। দুর্ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন, আহতের সংখ্যা ৬০ এর বেশি।
এদিন দুর্ঘটনার পরপরই রেলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, মালগাড়িটির চালকের সিগন্যাল অমান্য করাতেই এই দুর্ঘটনা। তবে এর কিছুক্ষণ পরই রেলের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থার দাবি, ভোর থেকেই স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্য়বস্থায় ত্রুটি ছিল। সোমবার ভোর ৫.৫০ থেকেই খারাপ ছিল অটোমেটিক সিগন্যাল সিস্টেম। যদি পিটিআই-র দাবিই সত্যি তাই হয়, মুহূর্তে খারিজ হয়ে যায় রেলের দাবি।
সূত্রের দাবি, ভোর ৫টা ৫০ মিনিট থেকে রানিপাত্র ও চটের হাট স্টেশনের মধ্যে অটোমেটিক সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটি ধরা পড়েছিল। এরপর ম্যানুয়াল পেপার দিয়ে হচ্ছিল কাজ। একই পথে দুই ট্রেনকে স্টেশন মাস্টারের ম্যানুয়াল মেমো দিয়েছিলেন। তাহলে কী স্টেশন মাস্টারের ভুলেই এত বড় বিপর্যয়? উঠছে প্রশ্ন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাঙাপানি স্টেশন পার করেছিল সকাল ৮টা ২৭ মিনিটে। মাঝে ট্রেনটিকে রানিপাত্র ও চটের হাট স্টেশনের মধ্যে দাঁড় করানো হয়েছিল সিগন্যালিং ব্যবস্থায় ত্রুটির জন্য। সাধারণত সিগন্যালে সমস্যা হলে স্টেশন মাস্টার টিএ ৯১২ ইস্যু করেন। যার অর্থ লাল সিগন্যাল থাকলেও সেগুলি অতিক্রম করার জন্য ট্রেন চালককে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাজ্যে এই সব যাত্রীদের আর লাগবে না বাসভাড়া, যুগান্তকারী নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
যা জানা যাচ্ছে তাতে রানিপাড়া স্টেশনের স্টেশন মাস্টার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের জন্য টিএ ৯১২ ইস্যু করেছিলেন। নিয়ম হল, যেখানে লাল সিগন্যাল থাকবে টিএ ৯১২ ইস্যু করা হলে সেখানে ১ মিনিট ট্রেন দাঁড়াবে, তারপর ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে যেতে পারবে। এবার মালগাড়িটিকেও লাল সিগন্যালগুলি অতিক্রমের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল? নাকি ট্রেন চালকই ত্রুটিপূর্ণ সিগন্যালের নিয়ম ভেঙেছিলেন, সেই নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই মালগাড়ির মৃত চালকের দোষের এত বড় দুর্ঘটনা তা বলা যায় না।