তৃণমূল নেতাকে পা ছুঁয়ে প্রণাম, শীঘ্রই দলবদল? জল্পনার মাঝে বাংলা হান্টে মুখ খুললেন সৌমিত্র খাঁ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মিটেছে লোকসভা ভোট (Loksabha Vote)। বাংলার যে ১২ খানা কেন্দ্রে বিজেপি পদ্ম ফোটাতে পেরেছে তার মধ্যে অন্যতম হল বিষ্ণুপুর। প্রাক্তন স্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডলকে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন বিজেপির (BJP) সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। ফের হয়েছেন সাংসদ। তবে তারপর থেকেই সৌমিত্রকে নিয়ে জল্পনা যেন কমছেই না। প্রথমত ভোটে জিতেও দলেরই কিছু নেতাদের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। ওদিকে তার মুখে ফলাফলের দিন থেকেই তৃণমূল ‘স্তুতি’। বাহবা দিয়েছেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী পদ্ম ছেড়ে জোড়াফুলের পথে দাপুটে এই সাংসদ?

লোকসভা ভোটে বঙ্গে বিজেপির ভরাডুবির পর নাম না করে দলের কিছু নেতাকে একহাত নিয়েছিলেন সৌমিত্র। মন্ত্রীত্ব না পাওয়াতেও নাকি ক্ষোভ জন্মেছিল তার মনে। এসবের মাঝে সম্প্রতি সৌমিত্র খাঁ জানান তৃণমূলের কিছু নেতাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখছেন তিনি। যদিও দলবদলের জল্পনা স্পষ্ট কথাতেই খারিজ করে দিয়েছেন। তবে এবার ফের ‘বিরাট’ কাণ্ড যেন ফের উস্কে দিল সেই জল্পনা।

এবার রাস্তায় সটান এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে দেখা গেল সৌমিত্র খাঁকে। গতকাল সোমবার রতনপুরে সাংসদ উন্নয়ন তহবিল সংক্রান্ত কিছু কাজে যান সৌমিত্র। ফেরার পথে রাস্তায় তৃণমূল নেতা ভবতারণ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা হয় সাংসদের। আর তারপরই প্রকাশ্যে তার পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন সৌমিত্র। হয় সৌজন্য বিনিময়। তাহলে কী এবার সত্যিই পুরোনো দলে ফিরছেন সৌমিত্র? এই নিয়েই এবার বাংলা হান্টের কাছে মুখ খুললেন নব নির্বাচিত সাংসদ।

সৌমিত্র বলেন, ‘বাংলার যে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি তা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তা ধ্বংস করেছে। তবে আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে কাজ করি। ভোটে জেতার পর আমি এখন জনপ্রতিনিধি, একজন সাংসদ। সবকিছু নির্বিশেষে বিষ্ণুপুরের সকল সাধারণ মানুষের জন্যই আমি কাজ করব। বিষ্ণুপুরের উন্নয়ন করাই আমার লক্ষ্য।’

bjp mp soumitra khan

আরও পড়ুন: আরামের দিন শেষ, সরকারি কর্মচারীদের জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি, হুঁশিয়ারিতে ঘুম উড়ল সকলের

সৌমিত্র খাঁ-র সংযোজন, ‘এখানে কারও যদি কোনো সমস্যা হয়, যে কোনো রাজনৈতিক দল আমার কাছে আসতে পারে। আমি কংগ্রেসের কাছেও সৌজন্য বিনিময়ের জন্য গিয়েছিলাম। আমার কাছে প্রচুর সিপিএম নেতারাও আসেন। তাদের কোনো দরকারে আমি এগিয়ে আসি। আমি বলতে চাই, ভোট মিটে গিয়েছে, এখন কোনো রাজনীতি দেখবেন না। বিষ্ণুপুরের উন্নয়নের জন্য সকলে মিলে আমাদের কাজ করতে হবে। সারা দেশের সব সাংসদরা সকলে একসঙ্গে মিলে কাজ করে। তাহলে বাংলায় হবে না কেন? সৌজন্যতার, একসঙ্গে কাজ করার কালচার কী পশ্চিমবঙ্গে নষ্ট হয়ে গিয়েছে? আমার মনে হয় সকলের এগিয়ে আসা উচিৎ। আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে সকলের জন্য কাজ করতে চাই।’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর