বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী হওয়ার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারত (India)। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, নৌসেনার শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সামুদ্রিক অঞ্চলে প্রতিরক্ষা মজবুত করার লক্ষ্যে এবার ভারত নয়া সামরিক বাহন আনতে চলেছে। শুধু তাই নয়, এর জন্য হাত মেলানো হয়েছে আমেরিকার (America) সাথেও।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সামুদ্রিক অঞ্চলে প্রতিরক্ষার পাশাপাশি সমুদ্রে কোনো খনিজ পদার্থ কিংবা তেলের ভাণ্ডার রয়েছে কিনা সেদিকেও নজরদারি চালাবে ওই বাহন। পাশাপাশি, সামুদ্রিক গবেষণার কাজেও সেটি সাহায্য করবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত, আমেরিকার সংস্থা “ওশেন এয়ারো”-র সঙ্গে যৌথভাবে ভারতের “অ্যানাড্রোম সিস্টেমস” এই বাহনটি তৈরি করেছে। যেটির নাম দেওয়া হয়েছে “ট্রাইটন”।
এই বাহনের আরও একটি বিশেষত্ব হল জলের ওপর দিয়ে চলাচল করার পাশাপাশি এটি সমুদ্রের ভেতর দিয়েও যাতায়াত করতে পারে। আর সেই কারণেই এই বিশেষ বাহনটিকে বলা হচ্ছে “অটোনমাস আন্ডারওয়াটার অ্যান্ড সারফেস ভেহিক্যাল” বা AUSV। এমতাবস্থায়, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে, এই সামরিক যান ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হলে সেটি সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা ছাড়াও সামুদ্রিক গবেষণাতেও আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। উল্লেখ্য যে, এই স্বয়ংক্রিয় এই বাহনটি সূর্যের আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করে চলতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ভেবে মারতে গেলেন নিজের সমর্থককেই! পাকিস্তানি পেসার রউফের ভিডিও ভাইরাল
এদিকে, কোন দিক থেকে এবং সমুদ্রের কতটা গভীর থেকে আওয়াজ আসছে কিংবা কোনও জাহাজ বা ডুবোজাহাজ আন্তর্জাতিক জলসীমা পার করে ঢুকে পড়েছে কি না, এই বিষয়গুলিকেও সঠিকভাবে চিহ্নিত করে সেই সম্পর্কিত তথ্য তৎক্ষণাৎ নৌবাহিনীকে পাঠিয়ে সতর্ক করবে এই জলযান। এটিতে রয়েছে “ISR” প্রযুক্তি। যার মানে হল, ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেল্যান্স এবং রিকনয়সাঁ। অর্থাৎ, সোজা কথায় বলতে গেলে এই বিশেষ যান নজরদারি চালানোর পাশাপাশি দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং বিপদের আঁচ পেলে পাল্টা প্রতিরোধও করতে পারে।
আরও পড়ুন: খরচ হয়েছে ১২ কোটি! উদ্বোধনের আগেই নদীতে তলিয়ে গেল নির্মীয়মান সেতু, হইচই রাজ্যজুড়ে
এছাড়াও, এই যানটি যাতে সমুদ্রের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও কাজ করতে পারে সেভাবে তৈরি করা হয়েছে। আমেরিকার নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর ৫৯ এবং ৬৮ টাস্ক ফোর্স এই যানটি ব্যবহার করে থাকে। ইতিমধ্যেই আমেরিকা বেশ কয়েকটি দেশের কাছে এই যান বিক্রি করেছে। এদিকে, আমেরিকার সংস্থা “ওশেন এয়ারো” দাবি করেছে যে, ঝুঁকিপূর্ণ সামুদ্রিক অভিযান থেকে শুরু করে অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ারেও এই বাহন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।