বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের পর রাজ্যে ফের ভোটের দামামা। আগামী ১০ জুলাই বাংলার ৪টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন রয়েছে। তবে তার আগে শিরোনামে তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীকোন্দল। দিন কয়েক আগে কসবায় জোড়াফুল শিবিরের অর্ন্তদ্বন্দ্বের খবর সামনে এসেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার শিরোনামে উঠে এল পাটুলি।
কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) ১১০ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councilor) স্বরাজ মণ্ডলকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দলেরই কর্মীদের বিরুদ্ধে। স্বরাজের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ পাটুলিতে নিজের কার্যালয়ে বসতে যান তিনি। সেই সময়ই বাঁধে বিপত্তি! দলের বেশ কিছু কর্মী তাঁকে সেখানে বসতে বাধা দিতেই বচসা শুরু হয়।
পাটুলির মেলার মাঠে কার্যালয় রয়েছে স্বরাজের। সেখানে প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন করে স্থানীয় বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার বসেন। বাকি দিনগুলিতে স্বরাজই থাকেন। তাঁর দাবি, অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবারও নিজের কার্যালয়ে বসতে যান তিনি। তখন নাকি দলের কিছু কর্মী তাঁকে বলে, বিধায়কের চেয়ারে বসা যাবে না।
আরও পড়ুনঃ দলবিরোধী কাজের অভিযোগ! হেভিওয়েট প্রার্থীকে বহিষ্কার করল বঙ্গ BJP, নাম ফাঁস হতেই তোলপাড়!
এই নিয়ে প্রথমে তর্কাতর্কি হয়। এরপর তা গড়ায় হাতাহাতি অবধি। এসবের মাঝেই কয়েকজন সপাটে স্বরাজের মুখে ঘুসি মারেন। এতে তাঁর মুখ ফেটে যায় বলে অভিযোগ। শরীরের আরও বেশ কিছু জায়গায় চোট লেগেছে বলে খবর। এরপর হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করুয়ে সোজা পাটুলি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন TMC কাউন্সিলর।
আহত স্বরাজের দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে ১০৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারকেশ্বর চক্রবর্তীর অনুগামীরা। পাল্টা তারকেশ্বরের দাবি, এই কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানেন না। এদিকে স্থানীয় বিধায়ক দেবব্রত বর্তমানে শহরে নেই। তবে তিনি ফিরে ঘটনাটির বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগেও স্বরাজকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময়ও বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কর্মীদের দিকে আঙুল তোলা হয়। রাজ্যের মন্ত্রী তথা TMC নেতা অরূপ বিশ্বাস তখন পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে ভোট মিটতেই ফের শিরোনামে উঠে এল জোড়াফুল শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দল।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…