বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির উন্নতি ঘটছে। পেট্রোল ও ডিজেল চালিত যানবাহন ছাড়াও বিদ্যুতে চালিত বা ব্যাটারি চালিত যানবাহন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের কোনায় কোনায়। বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলি (Electronic Vehicles) পরিবেশবান্ধব। পেট্রোল এবং ডিজেলের খরচ বাঁচানোর পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ করে না।
তাই সরকারের পক্ষ থেকে বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার ব্যাপারে উৎসাহ দিতে দেওয়া হচ্ছে ভর্তুকি (Subsidy)। স্কুটার, গাড়ি, বাইক সহ ইলেকট্রিক গাড়ি কিনতে ছাড় পেতে চাইলে আপনার জন্য এসে গেছে দুর্দান্ত এক প্রকল্প। এই প্রকল্পের নাম ইলেকট্রিক মোবিলিটি প্রমোশন স্কিম। ২ চাকা, ৩ চাকা ও ৪ চাকার গাড়িতে ভর্তুকি দেবে সরকার। দেখে নিন কোন গাড়ি কিনতে কত টাকা ভর্তুকি পাবেন…
আরোও পড়ুন : নজিরবিহীন! ভর সন্ধ্যায় বসছে হাইকোর্ট, এবার কোন মামলায় রায় দিচ্ছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত?
১) ইলেকট্রিক যানবাহন কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রকল্পের আওতায় টু হুইলার বা ২ চাকার গাড়ি কিনতে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়
২) ই-রিকশা, ই-অটোর মতো ছোট থ্রি-হুইলার গাড়ি কিনতে চাইলে ২৫,০০০ টাকার ইভি ভর্তুকি দেবে সরকার।
৩) ইলেকট্রিক চার চাকার গাড়ি কিনতে প্রথম ১০০০জন গ্রাহককে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়।
আরোও পড়ুন : কন্যাশ্রী,লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত! এবার ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনায় মিলবে প্রচুর টাকা, কিভাবে হবে আবেদন?
ভর্তুকির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া:- বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকার বাজেট নির্ধারণ করেছে ভারী শিল্প মন্ত্রণালয়। ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত এই স্কিম চালাবে সরকার। ইতিমধ্যেই আবেদন গ্রহণের কাজ চলছে। বড় গণপরিবহনের যানবাহনগুলিকে ইলেকট্রিক চালিত যানবাহন হিসেবে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ইলেকট্রিক বাসে ইলেকট্রিক যানবাহনের সাবস আইডি দেওয়া হচ্ছে। যানবাহন সংস্থাগুলিতে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে গ্রাহকদের। তবে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। ইলেকট্রিক গাড়ির সুবিধা অনেক। সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত হওয়ার কারণে ইলেকট্রিক গাড়িগুলির জন্য পেট্রোল ডিজেলের বর্ধিত দাম দিতে হয় না। ইলেকট্রনিক গাড়ি পরিবেশবান্ধব। অর্থাৎ এতে পরিবেশ দূষণ হয় না। অদূর ভবিষ্যতে সারা দেশ জুড়ে জ্বালানি খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে যানবাহনের ইলেকট্রিক নির্ভরতা। এতে তেলের দাম কমার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ অনেক কম হবে।