বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে খারিজ জনস্বার্থ মামলা। মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা—মেট্রো (Mominpur to Esplanade metro) রেলপথ নির্মাণের জন্য ময়দান এলাকায় নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ‘পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন ক্যালকাটা’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ তুলে দায়ের হয় মামলা। আগে স্থগিতাদেশ দিলেও এদিন সেই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মামলা খারিজ করে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মেট্রোর জন্য গাছ কাটা হলেও আবার গাছ লাগানোর কথা জানিয়েছে মেট্রো নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএল। তবে আদালতকে সঠিক ভাবে জানাননি মামলাকারী।
এদিনের শুনানিতে হাইকোর্ট জানায়, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি আদায় করে মেট্রো রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু করে নির্মাণ সংস্থা। শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমের তথ্যের উপর ভিত্তি করেই মামলাকারী এই মামলা করেছেন বলে মনে করেছে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তাই মামলাটি খারিজ করে আরভিএনএল-কে নির্মাণ কাজ চালিয়ে অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।
জোকা–বিবাদী বাগ মেট্রো রেল সম্প্রসারণের কাজে লাগামছাড়া মনোভাব নিয়ে কাটা হচ্ছে গাছ। সবুজকে বাঁচাতে গাছ কাটা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে গত বছর কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের বক্তব্য ছিল এই এলাকাজুড়ে মোট ৭০০ গাছ মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ কাটবে এমন তথ্য মিলেছে। সংবাদমাধ্যম থেকেই এই তথ্য পেয়েছেন তারা। প্রায় ২০০ গাছ কাটা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা। এর বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হয় সেই সংগঠন।
আরও পড়ুন: DA অতীত, এবার সরকারি কর্মীদের জন্য জারি হল কড়া নির্দেশিকা, মাথায় বাজ সকলের
জানা গিয়েছে প্রথমে এই কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও পরে তা ফের করার অনুমতি দেয় আদালত। এরপর প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলা উঠলে রাজ্য সরকার, সেনাবাহিনী, কেন্দ্রীয় সরকার, রেল বিকাশ নিগম, বন দফতরের কাছে হলফনামা চেয়েছিল হাইকোর্ট। সম্প্রতি সেই হলফনামা জমা পড়ে। এবার সেই মামলার শুনানিতেই মামলাটি খারিজ করে আরভিএনএল-কে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল।