একধাক্কায় বাড়বে কর্মসংস্থান! ‘বাংলার শাড়ি’ নিয়ে বিরাট উদ্যোগ মমতার, খুশির হাওয়া রাজ্যে!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন আগেই ‘বাংলার শাড়ি’ নিয়ে একটি বড় ঘোষণা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকে বিপণি তৈরির কথা বলেছিলেন তিনি। যেখানে স্বল্প মূল্যে পাওয়া যাবে ভালো কোয়ালিটির শাড়ি। এর জন্য আর দেশ, বিদেশ ছুটতে হবে না। এবার এই নিয়েই সামনে এল বড় আপডেট। জানা গেল, ‘বাংলার শাড়ি’ নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)।

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, দুর্গাপুজোর আগেই ‘বাংলার শাড়ি’র (Banglar Saree) বিপণি শুরু করে দিতে চায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাই নবান্নের (Nabanna) তরফ থেকে অবিলম্বে জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই প্রশাসনকে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

   

দুর্গাপুজো মানে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। পুজো আসার কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় সাজো সাজো রব। ‘ফেস্টিভ মুডে’ চলে যায় প্রায় প্রত্যেক বাঙালি। সেই কথা মাথায় রেখেই পুজোর আগে ‘বাংলার বিপণি’ চালু করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুনঃ সুকান্ত-দিলীপরা গেলেও দিল্লিমুখী হননি শুভেন্দু! রবিবার রাতেই রাজধানী রওনা? আচমকা কী হল?

রাজ্যের ঘোষণা অনুসারে, কলকাতার ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপন ও নিউ দীঘায় ‘বাংলার শাড়ি’র আউটলেট খুলতে চলেছে। তাই পুজোর আগে যারা শাড়ি কিনতে চান তাঁদের জন্য এটি ভালো সুযোগ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু ঢাকুরিয়া এবং নিউ দীঘাই নয়, জানা যাচ্ছে সম্পূর্ণ রাজ্য জুড়ে এই উদ্যোগ চালু করার প্ল্যান করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই জেলাগুলিতে নবান্নের তরফ থেকে এই জন্য জমি চিহ্নিতকরণের চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। সেই সঙ্গেই জমি চিহ্নিত করার পর একটি বিশদ রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন বাংলায় শাড়ি শিল্পের কদর বৃদ্ধি পাবে, তেমনই কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের প্রচুর ছেলেমেয়েরাই এখানে কাজ করার সুযোগ পাবে। ফলে তাঁদেরও সুবিধা হবে। একইসঙ্গে রাজ্যের তাঁতিদেরও বিক্রি বৃদ্ধি পাবেন। সব মিলিয়ে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই উদ্যোগ নানানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে খবর।

Mamata Banerjee Government of West Bengal

জানা যাচ্ছে, ‘বাংলার শাড়ি’ আউটলেটে একদিকে যেমন দামি শাড়ি পাওয়া যাবে, তেমনই স্বল্প মূল্যের শাড়িও পাওয়া যাবে। দামি থেকে ৩০০ টাকা দামের শাড়ি মিলবে এখানে। ফলত মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য এই বিপণি আকর্ষণের জায়গা হয়ে উঠতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর