ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রাম জুড়ে দিচ্ছে বাংলা-সিকিমকে! এই বর্ষায় হয়ে উঠবে আপনার সেরা ডেস্টিনেশন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্ষা প্রবেশ করেছে বাংলায়। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি। এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। তীব্র কাঠফাটা গরম আর নেই। বেশ কিছুদিনের তীব্র গরম কাটিয়ে উঠে বর্ষার বৃষ্টিতে গাছপালাগুলো যেন সবুজে সবুজ হয়ে যায়। এই সময় পাহাড়ি অঞ্চল কে যেন বেশিই সবুজাভ বলে মনে হয়। এমন মুহূর্তে গাছগাছালি ঘেরা নির্জন পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হাঁটতে বেশ লাগে। এই সময় কোনটা কুয়াশা আর কোনটা মেঘ আলাদা করা যায় না।

বর্ষার মরশুমে একবার ঘুরে আসুন কালিম্পংয়ের (Kalimpong) কাগে। নামটা একটু অদ্ভুত হয়তো। কিন্তু জায়গাটা যে মোটেও অদ্ভুত নয়, বরং মন শান্ত করে দেওয়ার মতো তা হলফ করে বলতে পারি। বাংলা আর সিকিমের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত এই নির্জন পাহাড়ি গ্রাম। তবে শুধু নির্জন বললে কম বলা হয়। পাহাড়ের মাথায় রয়েছে হোমস্টে। সেখান থেকে যখন আশেপাশে তাকাবেন, তখন মনে হবে যেন প্রকৃতির কোলে রয়েছে আপনি।

আরোও পড়ুন :  মুছে যেতে চলেছে কলকাতার আরো এক ঐতিহ্য! বন্ধ হচ্ছে প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান পুঁটিরাম

উঁচু উঁচু হোমস্টে থেকে প্রকৃতিকে আলাদাভাবে অনুভব করতে পারবেন। মনে হবে যেন কোন এক আদিম সভ্যতায় এসে পড়েছেন আপনি। দূরে দেখা যাচ্ছে সভ্য জগতের আলো। এমনই এক অন্য অনুভূতি কাজ করবে আপনার মনে। কাগের দুটি বিশেষত্ব রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো ওখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা খুব সুন্দরভাবে দেখা যায়। আর নাম না জানা পাখির দলের কাকলিতে মন ভরে যায়।

Kagey

কাগ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার রিশপ। পেডং খুব দূরে নয়। পাহাড়ের চূড়া থেকে সিকিমের একাধিক গ্রাম আপনার চোখে পড়বে। এখান থেকে দেখা যায় কোলাখামের কাছের জলপ্রপাত। চারিদিকে যেন সবুজে সবুজ। একবার এই জায়গায় গেলে বাড়ি ফিরে আসতে মন চাইবে না। এনজেপি থেকে কালিম্পং, পেডং হয়ে কাগে আসা যায়। এনজেেপি থেকে কাগের দূরত্ব প্রায় ১০৫ কিলোমিটার। চাইলে গাড়ি ভাড়া করে সরাসরি আসতে পারেন। লাভা রিশপ হয়েও আসতে পারেন।

ad

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর