জবরদখল তুলতে গিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড! হাই কোর্টের নির্দেশ মানতে গিয়ে উত্তপ্ত মাঝেরহাট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জবরদখল উচ্ছেদ নিয়ে ধুন্ধুমার মাঝেরহাট। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ অনুসারে জবরদখল তুলতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল পুলিশকে। সোমবার সকালে মাঝেরহাট (Majherhat) স্টেশনের কাছে ঘটেছে এই ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বসবাস করছে বহু পরিবার। ছোট ছোট গুমটি থেকে সংসার চলে তাঁদের। এদিন সকালে পোর্টের তরফ থেকে আইনজীবী এবং পুলিশ এসে সেগুলি জেসিবি দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।

এর জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এই এলাকায় আবার একটি ক্লাব রয়েছে। পোর্টের তরফ থেকে অভিযোগ, কয়েকদিন আগে অবধিও সেটি তৃণমূলের (Trinamool Congress) পার্টি অফিস ছিল। তবে রাতারাতি সেটিকে ক্লাব এবং স্কুল বানিয়ে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখানে কোনও দিন রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ছিল না। মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে।

   

মাঝেরহাট স্টেশনের (Majherhat Station) উল্টো দিকে ২ নং হেলেন কেলার সরণিতে পোর্ট ট্রাস্টের (Port Trust) বেশ কিছু জমি রয়েছে। পোর্ট ট্রাস্টের অভিযোগ, সেগুলিকে জবরদখল করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সেই জমি থেকেই এদিন জবরদখল উচ্ছেদ করতে আসা হয়। আর তাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।

আরও পড়ুনঃ ৫০০ টাকায় গ্যাস থেকে ৬০০০ টাকা ভাতা! ভোট মিটতেই বিরাট ঘোষণা, খুশির হাওয়া রাজ্যে!

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নোটিশ ছাড়া এভাবে উচ্ছেদ করা যাবে না। মহিলা, পুরুষ সবাই মিলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্থানীয় এক যুবক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিগত ৭০ বছর ধরে এখানে আমরা থাকি। কোনও রকম নোটিশ ছাড়াই ওই আইনজীবী আমাদের উচ্ছেদ করে দিচ্ছেন। বলছেন, এটা পোর্টের জায়গায়, আমরাও সেটা মানছি। বিজেপি এক মাস আগে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছে, সেটা ভাঙছে না, এদিকে আমাদের ঘর ভেঙে দিচ্ছে’।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, একাধিকবার জায়গা দেওয়ার কথা বলা হলেও তাঁদের কোনও জায়গা দেওয়া হয়নি। উল্টে এখন তাঁদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এদিকে যে ফার্ম পোর্ট ট্রাস্টের কাজ দেখে তার আইনজীবী ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি বলেন, ৫০ বছর হোক বা ৫০০ বছর, কেউ যদি কোথাও জবরদখল করে থাকে তাহলে কি সেটা তাঁর জায়গা হয়ে যায় নাকি?

Majherhat Port Trust land eviction

আইনজীবী বলেন, ‘আমরা কি এখানে নিজে থেকে এসেছি? আদালতের অর্ডার রয়েছে সেই জন্য এসেছি। আজ সকালে পুলিশ আদালতে অর্ডার পরিবর্তন করতে গিয়েছিল। তবে কোর্ট সেকথা শোনেনি। বলেছে, আগে কাজ করতে। এরপর যদি কিছু হয় তাহলে যেতে। পুলিশ এখানে যদি কাজ না করে তাহলে গিয়ে বলতে হবে। আমাদের ফের আদালতে গিয়ে বলতে হবে যে পুলিশ কাজ করছে না’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর