সরকারি স্কুলের জমি দখল! তৈরি হচ্ছে বাড়ি-দোকান! TMC-র পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত সোমবার নবান্নে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সরকারি জমি জবরদখল, হকার সমস্যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমো। এরপর থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে প্রশাসন। তবে এবার সরকারি প্রাথমিক স্কুলের জমিতে দোকান ঘর এবং দোতলা বাড়ি তৈরি নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার চাঁপাতোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফদার আটি চাঁদপুর এলাকায় চাঁদপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে দোতলা বাড়ি তৈরির কাজ হচ্ছে।

এই বিষয়ে চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের সদস্য হাবিব রেজা চৌধুরীর অভিযোগ, ওই সরকারি স্কুলের জমি (Government School Land) দখল করে দিনের আলোয় দোতলা বাড়ি তোলা হচ্ছে। এর আগে এখানে একটি দোকান ঘর তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের (Panchayat Pradhan) স্বামী এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কাটমানি নিয়ে এই বাড়ি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

চাঁদপুর প্রাথমিক স্কুলের ২৫ শতক জমিতে বিদ্যালয়ের বিল্ডিং রয়েছে। বাকি যে অংশ রয়েছে সেখানেই মহম্মদ শকের আলি নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বিল্ডিং তৈরি করছেন বলে খবর। অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন হয়েছে এখনও ১ বছর হয়নি। এই সময়কালেই নাকি একাধিক দুর্নীতি করছেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে এই নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এলাকায় নেই বলে জানান।

আরও পড়ুনঃ ৫-১০% নয়, এক ধাক্কায় ১৬% DA বৃদ্ধি! রাজ্য সরকারের এক সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া রাজ্যে

পঞ্চায়েতের উপ প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন, কোনও বাড়ি বা বিল্ডিং তৈরি করতে গেলে পঞ্চায়েত আইন অনুসারে পঞ্চায়েতের অনুমতি নিতে হয়। তবে যে ব্যক্তি ওই বিল্ডিং তৈরি করছেন তিনি অনুমতি নেননি। BJP-র তরফ থেকে এই নিয়ে দুর্নীতি এবং কাটমানির অভিযোগ আনা হলেও উপ প্রধান সেকথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, দুর্নীতি বা কাটমানির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার সঙ্গে পঞ্চায়েতের কেউ জড়িত হয়। যদি কেউ জড়িত থেকে থাকে তাহলে তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে দলের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Trinamool Congress TMC flag

দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষার কর্মাধ্যক্ষ এনামুল মোল্লা বলেন, সরকারি স্কুলের জমিতে কোনও রকম বেআইনি নির্মাণ হতে পারে না। কীভাবে ওই বিদ্যালয়ের জমিতে নির্মাণ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে বলেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে কাজ করার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং যে ব্যক্তি ওই বিল্ডিং তৈরি করছিলেন তিনি যদি সঠিক কাগজপত্র না দেখাতে পারেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন এনামুল।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর