রেকর্ড গরমের পর, ১২৪ বছরে তৃতীয় শুষ্কতম জুন, কেন এমন বৃষ্টির আকাল দক্ষিণবঙ্গে?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রেকর্ড গরমের পর বৃষ্টির আকাল দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। ১২৪ বছরে তৃতীয় শুষ্কতম জুন (Driest June) হিসাবে নতুন রেকর্ড করেছে দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal)। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর রাজ্যে গড় বৃষ্টির পরিমাণ মাত্র ৮১.৪ মিলিমিটার। যেখানে সারা দেশে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে ১১%, সেখানে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি সবমিলিয়ে ৬৭%।

পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে আমন ধানের বীজ তোলা নিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন চাষিরাও। বিশেষ করে আগামী ২ সপ্তাহেও যদি ভালো বৃষ্টি না হয় তাহলে চিন্তা বাড়বে চাষিদের।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে ২৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল। রেকর্ড বলছে ১৯০০ সাল থেকে দক্ষিণবঙ্গে এই পর্যন্ত মাত্র ৫ বার ১০০ মিলিমিটারের নীচে বৃষ্টি হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গে জুন মাসে সবচে কম বৃষ্টি হয়েছে  ২০০৯ সালে। সে বার বৃষ্টি হয়েছিল মাত্র ৬৯ মিলিমিটার। এরপর এই তালিকায় দ্বিতীয় ১৯০৫ সালের বৃষ্টি।  আর তৃতীয় স্থানে ২০২৪। তবে জানা যাচ্ছে ২০০৯ সালের সঙ্গে এবছরের জুনের অনেক মিল আছে। ২০০৯ সালে প্রশান্ত মহাসাগরে শক্তিশালী এল নিনো ছিল। ২০২৪-এর শুরুতেও প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো ছিল। যদিও সারা দেশের নিরিখে স্বাভাবিকের বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল মৌসম ভবন।

আরও পড়ুন: হকার উচ্ছেদের পর নজর ঝুপড়িতে! ফুটপাথ বাসীদের পুনর্বাসনের জন্য জমি খুঁজছে পুরসভা

তাই একথাও ঠিক দেশের অন্যান্য একাধিক রাজ্যে বৃষ্টি হলেও সারা দেশে বৃষ্টির সার্বিক ঘাটতি রয়েছে। নেপথ্যে কারণ হিসাবে উঠে আসছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশার মতো রাজ্যের ‘বর্ষাল্পতা’।তবে জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতির পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ।

Farming

এপ্রসঙ্গে পুণের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটেরোলজির জলবায়ু বিজ্ঞানী পার্থসারথি মুখোপাধ্যায়ের বলেছেন, ‘দুটো স্থানীয় কারণে আমরা জোর দিতে পারি। এক, জুনে দক্ষিণবঙ্গ-সহ দেশের স্থলভাগের উপর একটি উচ্চচাপ বলয় ছিল। ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্প ঢুকতে পারেনি। উল্টে উত্তর-পশ্চিম ভারতের গরম হাওয়া ঠেলে বাংলায় ঢুকিয়ে দিয়েছে এই উচ্চচাপ বলয়। ফলে জুনেও তাপপ্রবাহ সইতে হয়েছে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলকে।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর