ফের বড়সড় সাফল্যের সম্মুখীন ISRO! সূর্যের দেশে আদিত্য-L1 করে দেখাল বিরাট কামাল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের বড় সাফল্যের সম্মুখীন হল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ISRO (Indian Space Research Organisation)। ইতিমধ্যেই গত সোমবার ISRO জানিয়েছে যে, ভারতের প্রথম সৌর নিরীক্ষণের জন্য পাঠানো যান আদিত্য-L1 (Aditya-L1), সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে L1 ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান বিন্দুর চারপাশে থাকা হ্যালো কক্ষপথের সফলভাবে একবার চক্কর কেটেছে। জানিয়ে রাখি যে, আদিত্য-L1 গত বছর ২ সেপ্টেম্বর লঞ্চ করা হয়েছিল এবং এটিকে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি হ্যালো কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এদিকে, আদিত্য-L1 তার জটিল গতিপথ বজায় রাখার ক্ষমতাও সফলভাবে প্রদর্শন করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আদিত্য-L1 হল সূর্যকে গভীরভাবে নিরীক্ষণ করার জন্য ডিজাইন করা একটি মহাকাশযান। যেটি L1 বিন্দুর চারপাশে একটি কক্ষপথের সম্পূর্ণ চক্কর কাটতে প্রায় ১৭৮ দিন সময় নেয়। ISRO জানিয়েছে, “ওই অবস্থানে মহাকাশযানটি বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়। যেগুলি সেটিকে লক্ষ্যবস্তু পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারে। তবে এই শক্তিগুলিকে মোকাবিলা করার জন্য, আমরা মিশনের শুরু থেকে ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন-কিপিং কৌশল পরিচালনা করেছি।”

এদিকে, এগুলির মধ্যে প্রথম ২ টি কৌশল যথাক্রমে ২২ ফেব্রুয়ারি এবং ৭ জুন সম্পন্ন হয়েছিল। পাশাপাশি সোমবার অর্থাৎ ২ জুলাই, তৃতীয় কৌশলটি একটি টার্নিং পয়েন্ট চিহ্নিত করেছে। যেটি মহাকাশযানের L1-এর চারপাশে তার দ্বিতীয় কক্ষপথে স্থানান্তর হওয়ার বিষয়টিকে নিশ্চিত করেছে।

আরও পড়ুন: হাতে রয়েছে ছুটি? বর্ষার মরশুমে ঘুরে আসুন ভারতের এই ৪ টি অফবিট ডেস্টিনেশনে! ভরে যাবে মন

জানিয়ে রাখি যে, আদিত্য-L1 মহাকাশযানের কক্ষপথ হল একটি পর্যায়ক্রমিক হ্যালো কক্ষপথ। যা পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিমি দূরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলমান সূর্য-পৃথিবী লাইনে অবস্থিত। এই হ্যালো কক্ষপথটি L1-এর চারপাশে একটি পর্যায়ক্রমিক, ত্রিমাত্রিক কক্ষপথ। যেখানে সূর্য, পৃথিবী এবং একটি মহাকাশযান রয়েছে। এই নির্দিষ্ট হ্যালো কক্ষপথটি ৫ বছরের মিশন জীবনকাল নিশ্চিত করতে, স্টেশন-কিপিং চালনা কমিয়ে জ্বালানি খরচ কমাতে এবং সূর্যের বাধাহীন দৃশ্য নিশ্চিত করার জন্য এটিকে নির্বাচন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কপাল খুলল KKR-এর এই তারকা প্লেয়ারের! জিম্বাবোয়ে সফরের ভারতীয় স্কোয়াডে হল “এন্ট্রি”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, “L1 পয়েন্ট” হল পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যে মোট দূরত্বের প্রায় এক শতাংশ। আদিত্য-L1-কে এই বিন্দুতেই স্থাপন করা হয়েছে। এই স্যাটেলাইট থেকে সূর্যকে “L1 পয়েন্ট”-এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে একটানা দেখা যায়। L1 বিন্দুর চারপাশের কক্ষপথকে বলা হয় সোলার হ্যালো অরবিট। এই কক্ষপথেই বসানো হয়েছে আদিত্য-L1-কে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর