দীপিকা-আলিয়াদের শাড়ি পরিয়েই আয় করেন লাখে! বিদ্যার দৌড় কতদূর ডলি জৈনের?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কায়দা করে শাড়ি পরিয়েও যে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায় তার অন্যতম উদাহরণ হলেন কলকাতার বাসিন্দা তথা শাড়ি ডেপিং আর্টিস্ট (Saree Draping Artist) ডলি  জৈন (Dolly Jain)। বলিউডের নামিদামি সব অভিনেত্রীদের শাড়ি পরিয়ে বহুদিন আগেই লাইম লাইট কেড়ে নিয়েছেন ডলি। মাধুরী দীক্ষিত, দীপিকা পাড়ুকোন থেকে আলিয়া ভাট, ক্যাটরিনা কাইফ কিংবা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া কে নেই এই তালিকায়!

তাঁদের জাদুতে আরও সুন্দরী হয়েছেন ভারতীয় ধরকুবের মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। শুধুমাত্র  শাড়ি পরিইয়েই লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন ডলি (Dolly Jain)। তবে ইংরেজিতে তুখোর ডলির শিক্ষাগত যোগ্যতা শুনলে চমকে উঠবেন যে কেউ। প্রসঙ্গত খুবই অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল ডলির (Dolly Jain)।

তাই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ডেপিং আর্টিস্টকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কত দূর পড়াশোনা করেছেন। জবাবে তিনি তা জানালেন তা শুনলে চমকে উঠবেন যে কেউ। ডলি এদিন বলেন  ‘আমার ২১ বছরে বিয়ে। ওই বয়সে গ্র্যাজুয়েশন তো হয়ে যাওয়ারই কথা। তবে আমি ক্লাস সেভেন অবধি পড়াশোনা করেছি।’

আরও পড়ুন: পর্দার প্রেম গড়াল বাস্তবে? লাদাখে রণজয়ের বাহুলগ্না শ্যামৌপ্তি, উষ্ণ ছবি ঘিরে তোলপাড় নেটপাড়া

যদিও বেশিদূর পড়াশোনা করতে না পারার কারণ খোলসা করতে চাননি ডলি। তিনি শুধু জানান, তাঁর পড়াশোনা না করার কারণ পারিবারিক। যা তিনি আলোচনা করতে চান না। তবে এরপরেই এদিন ডলির কাছে জানতে চাওয়া হয়, মাত্র ক্লাস সেভেন অবধি পড়েও, তিনি কীভাবে এত সুন্দর ইংরেজিতে কথা বলেন?

View this post on Instagram

 

A post shared by @jaanemannofficial

এবার আরও অবাক হওয়ার পালা। ইংরেজি শেখার প্রসঙ্গে ডলি এদিন বলেন, ‘আমরা সবসময় বলি মায়ের বাচ্চাদের শেখায়, বাচ্চাদের পড়ায়। আমার ক্ষেত্রে না যখন বাচ্চাদের জন্ম হল, তখন ঠিক করেছিলাম ওদের বলব আমার সঙ্গে শুধু ইংরেজিতে কথা বলবে। আমাদের ঘরে আর কোনও কথা বলার ভাষা থাকবে না। তোমরা আমার সঙ্গে ইংরেজিতেই কথা বলবে। আর আমাকে রোজ একটা করে নতুন শব্দ দেবে। সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে শব্দ দেবে আর ফিরে এসে বলবে, এটা দিয়ে একটা বাক্য তৈরি করে শোনাও। বা তোমার কথায় ব্যবহার করো। এভাবেই আমি ইংরেজি শিখেছি।’


Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর