বাংলাহান্ট ডেস্ক : যত সময় গেছে ততই বদলেছে আমাদের চারপাশ। সময়ের সাথে হাত মিলিয়ে উন্নত হয়েছে বিজ্ঞান। আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এসেছে আমূল পরিবর্তন। যাতায়াতের ক্ষেত্রেও ঘটে গেছে বিপ্লব। আমাদের চারপাশে বাসস্টপ, রেল স্টেশন, বিমানবন্দর ঘিরে রয়েছে। তবে এতদিন পর্যন্ত কোনো হেলিপোর্ট (Heliport) অথবা হেলি বন্দর ছিল না বাংলার বুকে।
বাংলায় এবার তৈরি হচ্ছে হেলিপোর্ট (Heliport)
এবার সরকারের উদ্যোগে ঘটতে চলেছে বিপ্লব। বাংলায় (West Bengal) তৈরি হতে চলেছে প্রথম হেলিপোর্ট (Heliport) অথবা হেলি বন্দর। রাজ্য সরকার রাজ্যের বেশ কিছু শহরে তৈরি করতে চলেছে হেলিপোর্ট। হেলিপোর্ট তৈরি হলে এই শহরগুলির মধ্যে হেলিকপ্টারে যাতায়াত সম্ভব হবে খুব সহজেই। চারচাকা বা বাসে যে দূরত্ব অতিক্রম করতে চার ঘন্টা মতো সময় লাগে, সেই দূরত্ব ১৫ মিনিটেই অতিক্রম করা যাবে। এই খবর সামনে আসার পরেই অনেকেই এই ব্যাপারটিতে উৎসাহ দেখিয়েছেন।
আরোও পড়ুন : কারি কারি টাকা দিয়ে পেট্রল-ডিজেল ভরার আগে দশবার ভাবুন! বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে রাজ্য সরকার কোন কোন শহরে এই হেলিপোর্ট তৈরি করতে চলেছে? সূত্রের খবর বলছে, প্রাথমিক পর্যায়ে রাজ্য সরকার হেলিপোর্ট তৈরি করবে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং রায়গঞ্জে। দার্জিলিংয়ে হেলিপোর্ট তৈরি হয়ে গেলে মাত্র ১০-১৫ মিনিটেই জলপাইগুড়ি থেকে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হবে। এয়ারপোর্টের মতোই হেলিপোর্ট দিয়ে ওঠা-নামা করবে হেলিকপ্টার। ভারতের অন্যান্য প্রান্তে প্রায় হাজারের বেশি হেলিপোর্ট রয়েছে। বিদেশেও রয়েছে অসংখ্য হেলিপোর্ট।
এই ধরনের হেলিপোর্ট এবার তৈরি হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় হেলিকপ্টার চলাচল করে। তবে বাংলায় স্থায়ী হেলিপোর্ট এতদিন ছিল না। রাজ্য সরকার এবার সেই স্বপ্নই পূরণ করতে চলেছে। কেন্দ্র সরকারের গতিশক্তি প্রকল্প অর্থায়ন করবে এই প্রকল্পে। এই প্রকল্পের জন্য দার্জিলিং ও রায়গঞ্জে জমি হস্তান্তর করা হয়েছে পবন হংসের কাছে। হেলিপোর্ট তৈরির জন্য জমির সন্ধান চলছে কালিম্পংয়ে।