বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগের জট কাটাতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যে উপাচার্য নিয়োগ (West Bengal VC recruitment Case) নিয়ে বহুদিন ধরেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। এবার এই বিষয়ের মীমাংসা করতে সার্চ কমিটি গঠনের নির্দেশ সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশের পরই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন “গণতন্ত্রের জয় হয়েছে”।
কীভাবে হবে নির্বাচন? জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)
এদিন সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিতে আদালত সাফ জানিয়ে দিল তিন মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। শুধু তাই নয়, গোটা পক্রিয়া কিভাবে হবে সেই নিয়েও একগুচ্ছ নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)।
সার্চ কমিটি গঠন করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের নিয়ম থাকলেও এই নিয়ে বারংবার বিবাদে জড়িয়েছে রাজভবন ও রাজ্য সরকার। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাছাই করা হবে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ললিতের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদের জন্য তিনটি করে নাম বাছাই করবে। এরপর সেই তিন নাম যাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মুখ্যমন্ত্রী ওই নামগুলির মধ্যে থেকে একটি বেছে নিয়ে রাজভবনে পাঠাবেন। তাকেই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল।
তবে এরপরও যদি বিপত্তির সৃষ্টি হয় তাহলে খোলা থাকবে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দরজা। সার্চ কমিটির বাছাই করা তিন নাম মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ না হলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন। আবার কমিটির দেওয়া নামের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ করা নাম রাজ্যপালের পছন্দ না হলে তিনিও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন।
আরও পড়ুন: স্কুল শিক্ষকদের বদলি নিয়ে বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের! কি বললেন জাস্টিস মান্থা?
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ, উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিতে হবে যাতে অবশ্যই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথার উল্লেখ থাকতে হবে। আর এই গোটা প্রক্রিয়ার খরচ দেবে করবে রাজ্য সরকার। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।