বাংলাহান্ট ডেস্ক : আধুনিক সভ্যতা বহু অংশেই নির্ভর বিদ্যুতের উপর। বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের একটা দিনও কল্পনা করা সম্ভব নয়। আধুনিক বিজ্ঞানের সব ফসলের প্রধান উৎস এই বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ আবিষ্কারের পর ক্রমশ অগ্রগতি হয়েছে মানব সভ্যতার। বর্তমানে প্রত্যেকটি মানুষের অধিকারের মধ্যে পড়ে বিদ্যুৎ।
আমাদের দেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা বিদ্যুৎ পরিষেবা দিয়ে থাকে। ইউনিট প্রতি মূল্য হিসাবে বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে হয় আমাদের। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় যেখানে সিইএসসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সেখানে প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল আসে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ বন্টন পর্ষদ (WBSEDCL) (WEST BENGAL STATE ELECTRICITY DISTRIBUTION COMPANY LIMITED) প্রতি ত্রৈমাসিকে বিদ্যুতের বিল পাঠিয়ে থাকে।
আরোও পড়ুন : এবারেও ফার্স্ট হতে পারল না ইন্ডিয়া! ভারতকে টেক্কা দিল চীন! আয়ের নিরিখে ‘এই’ পজিশনে উঠল নাম
একসাথে তাই বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয় গ্রাহকদের। WBSEDCL (WEST BENGAL STATE ELECTRICITY DISTRIBUTION COMPANY LIMITED) গ্রাহকরা প্রতি তিন মাস অন্তর পেতেন বিদ্যুতের বিল। তিন মাসে খরচ করা বিদ্যুতের উপর ভিত্তি করে সেই বিল পাঠানো হত। তবে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল এই পদ্ধতির ফলে তাদের প্রদান করতে হয় অতিরিক্ত চার্জ।
আরোও পড়ুন : অবিশ্বাস্য! মাত্র ১৫ মিনিটে কলকাতা টু দার্জিলিং! দেখুন, কীভাবে পাবেন এই পরিষেবা
যদি প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল পাঠানো হয় তাহলে অতিরিক্ত হারে ইউনিট চার্জ দিতে হয় না গ্রাহকদের। এবার WBSEDCL গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে সেই পথেই হাঁটতে চলেছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবার থেকে WBSEDCL (WEST BENGAL STATE ELECTRICITY DISTRIBUTION COMPANY LIMITED) প্রতিমাসে গ্রাহকদের বিদ্যুতের বিল পাঠাবে। মাসের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত যে পরিমাণ বিদ্যুৎ গ্রাহক খরচ করবেন শুধুমাত্র সেই টাকাই মাসের শেষে বিল করে পাঠানো হবে।
সূত্রের খবর, নতুন এই পদ্ধতি শুরু হচ্ছে এই মাস থেকেই। অন্যদিকে, তীব্র গরমের মধ্যেই সিইএসসি বিদ্যুতের ট্যারিফ বৃদ্ধির ভাবনাচিন্তা করছে। যদিও সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন এই ব্যাপারে সরকারের কাছে খবর ছিল না। তিনি বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ রায়কে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বলেছেন সিইএসসির সাথে।