বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার প্রাকৃতিক বৈচিত্র সৃষ্টিকর্তা যেন নিজের হাতে তৈরি করেছেন। বাংলার যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু প্রকৃতির অবর্ণনীয় খেলা। আজ আমরা আপনাদের এমন একটি জায়গার সন্ধান দিতে চলেছি যেখানে পাহাড় ও জঙ্গলের সহাবস্থান। কলকাতার কাছে অবস্থিত এই জায়গাটি বর্ষায় আপনার ডেস্টিনেশন (Destination) হতে পারে।
যারা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাদের জন্য উইকেন্ডে ছুটি কাটানোর সেরা ঠিকানা হতে পারে এই আরাকু ভ্যালি। আরাকু ভ্যালি বলতেই আমাদের মাথায় আসে ভাইজ্যকের নাম। তবে সেখানে সব সময় যাওয়া সম্ভব হয় না আমাদের। সময় সাপেক্ষ ও খরচ সাপেক্ষ ব্যাপার সেটি। তবে আজ আমরা যে জায়গার কথা বলছি সেটি হল বাংলার আরাকু ভ্যালি।
বাঁকুড়াতেই (Bankura) আছে বাংলার আরাকু ভ্যালি
যারা উইকেন্ডে ঘুরতে যেতে চান তাদের জন্য ঘুরতে যাওয়ার সেরা ডেস্টিনেশন হতে পারে এই অফ-বিট জায়গাটি। কলকাতার কাছে ঘুরতে যাওয়ার ঠিকানা বলতে রয়েছে একাধিক সমুদ্র সৈকত। তবে সেখানে বারবার যেতে কার ভালো লাগে? আজকে যে জায়গাটি সম্পর্কে আপনাদের জানাচ্ছি কলকাতা থেকে সেখানে মাত্র তিন-চার ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যায়।
আরোও পড়ুন : ইনিই নিজে দায়িত্ব নিয়ে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন অনন্ত-রাধিকার! জানেন, এই পুরোহিত নিলেন কত?
এই পাহাড় রয়েছে বাঁকুড়া (Bankura) জেলায়। এটিকে বলা হয়ে থাকে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার অংশ। আজ আমরা কথা বলছি বিহারীনাথ পাহাড় সম্পর্কে। এই পাহাড়ের নিচে সুন্দর একটি শিব মন্দির রয়েছে। জানা যায়, এক রাজা স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির তৈরি করেছিলেন। দামোদর নদ বয়ে গেছে এই পাহাড়ের পাশ দিয়ে। এর কিছুটা দূরে রয়েছে তেলকুপি। বর্ষার সময় ভরা যৌবনে পরিণত হয় দামোদর নদ।
যারা একটু অন্যরকম ভাবে ছুটি কাটাতে চাইছেন তারা বর্ষার সময় চলে আসতেই পারেন এখানে। বাঁকুড়া (Bankura) শহর থেকে মাত্র এক দিনেই ঘুরে যেতে পারবেন। বিহারীনাথ বাঁকুড়া জেলার সবথেকে উঁচু পাহাড়। এই পাহাড়ের উচ্চতা ১৮৫০ ফুট। শিবরাত্রি উপলক্ষে এখানে বসে বড় মেলা। সেই সময় অনেক জনসমাগম হয় এখানে। এছাড়া বছরের অন্যান্য সময় এখানে নিরিবিলি পরিবেশ থাকে।