বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তার নির্দেশেই নাকি নষ্ট করা হয়েছিল ওএমআর, প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় এবার পাল্টা ইডির তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। তার কথায়, তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে দু’ফুট করে উঠছি আর এক ফুট করে নেমে যাচ্ছি। ফলে সুরাহা হচ্ছে না। গন্তব্যে পৌঁছনো যাচ্ছে না।
নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় মানিককে পেশ আদালতে
শুক্রবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানিক বলেন যে কোনও অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে পাঠানোর আগে তার বিরুদ্ধে কী কী তথ্য রয়েছে, সেই বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থাকে অবগত থাকতে হয়। তবে এদিকে উল্টো।
মানিক বলেন এ বিষয়ে আদালত মনে করলে ইডির কাছে ব্যাখ্যা চাইতে পারে। দিনের পর দিন ধরে তদন্ত চলছে বলেই দাবি করে আসছে ইডি। এই ইস্যুতে কথা বলতে গিয়েই মানিক বলেন, ‘‘এটা তো সপ্তম-অষ্টম শ্রেণির সেই বাঁদরের তৈলাক্ত বাঁশ ধরে ওঠানামার অঙ্কের মতো হয়ে যাচ্ছে। বার বার করে চার্জ গঠনের সময়ে তদন্তকারী সংস্থা দাবি করছে যে তাদের তদন্ত চলছে।’’
প্রসঙ্গত, শিক্ষা কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য মানিক ভট্টাচার্য । সেই থেকে জেলেই দিন কাটছে তার। মাঝে বহুবার জামিনের আবেদন করলেও সুরাহা হয়নি।
এরই মাঝে শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে অ্যাড-হক কমিটির রেজোল্যুশন থেকে জানা যায় ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটের সমস্ত উত্তরপত্র নষ্ট হয়েছে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) মুখের কথাতেই। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রাথমিক বোর্ডের নতুন অ্যাড-হক কমিটির রেজোল্যুশন থেকে জানা এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে।
আরও পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণিকে আনা হচ্ছে প্রাথমিকের আওতায়, কবে থেকে নয়া পদ্ধতি? কোর্টে হলফনামা রাজ্যের
এর আগে আদালতে হাজির হয়ে পর্ষদের আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৭ সালে প্রাথমিকের ওএমআর পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের পরামর্শেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। পর্ষদের বোর্ডের সদস্যরা এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও আদালতে জানিয়েছিলেন তিনি। পর্ষদ আরও জানায়, মানিক ভট্টাচার্য বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের কোনো কিছু জানাননি। নিজেই একা বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিতেন। তিনিই ওএমআর শিট নষ্ট ক। বোর্ডের মিটিংয়ে কোনও ‘রেজলিউশন’ নেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছিল পর্ষদ।