বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় এবার প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি (Enforcement Directorate)। দীর্ঘদিন ধরেই এই মামলা নিয়ে উত্তাল রাজ্য। তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার এই মামলাতেই মোটা টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (Enforcement Directorate)?
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেকদিন ধরেই ED এবং সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে টেটের ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা এস বসু রায়। এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই সংস্থারই প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নগদ এবং নানান ব্যাঙ্কে থাকা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে বলে খবর।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট (OMR Sheet) মূল্যায়ন ও স্ক্যানিংয়ের দায়িত্ব ছিল এস বসু রায় সংস্থার হাতে। CBI জানিয়েছিল, প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় (TET Recruitment Scam) এগুলি ‘অত্যন্ত জরুরি’ নথি। তবে সেই ‘জরুরি’ নথিগুলিই ওই সংস্থা নষ্ট করে দেয় বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ! রাজ্যের কেউ আটকে রয়েছে? এবার বিরাট পদক্ষেপ সরকারের
ওএমআরের বিষয়ে CBI-এর তরফ থেকে আদালতকে জানানো হয়, ওএমআর স্ক্যান করে যে সার্ভারে রাখা হয়েছিল সেটি ২০১৭ সালে ওই সংস্থা বদলে দেয়। শুধু তাই নয়, সার্ভার ‘ক্র্যাশ’ করায় সেটি হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলার নির্দেশও দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান। একথা শোনার পর কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে পাল্টা জানানো হয়, ডিজিটাইজড তথ্য কোনোদিন নষ্ট হয় না। দরকার হলে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া হোক। তবে তথ্য উদ্ধার করতে হবে।
আদালতের নির্দেশ মতো গত ৯ জুলাই ওএমআর শিট মূল্যায়ন ও স্ক্যানিংয়ের দায়িত্বে থাকা ওই সংস্থার অফিসে যায় CBI। টানা কয়েকদিনের চিরুনি তল্লাশি চালানোর পর বেশ কয়েকটি হার্ড ডিস্ক এবং ২টি সার্ভার বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
অন্যদিকে ইডি-র (Enforcement Directorate) তরফ থেকে এস বসু রায় সংস্থার কয়েকজন হিসাবরক্ষক এবং কর্মচারীকে তলব করা হয় এবং জেরা করা হয়। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার দু’জনকে জেলে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। এবার ওই সংস্থারই প্রায় কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হল। এরপর এই মামলা কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।