বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের পর প্রথম ২১ জুলাই। গোটা শহর জুড়ে আজ শুধুই সবুজের ঢল। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আসন পেয়ে ঝড় তুলেছে তৃণমূল। আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বঙ্গ শাসকদলের এই সাফল্যের পেছনে সব থেকে বড় ভূমিকা লক্ষীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar)। কেবল লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভাতার কারণেই গ্রাম বাংলা ঢেলে ভোট দিয়েছে মমতার তৃণমূলকে, এমনটা মত বিরোধীদের একাংশেরও। এদিন একুশের মঞ্চেও সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রসঙ্গ উঠে এল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখে।
লক্ষীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার
লক্ষীর ভাণ্ডার যেমন চলছে, তেমনই চলবে। ভরা মঞ্চ থেকে সাফ ঘোষণা মমতার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা যারা লক্ষীর ভাণ্ডারের আবেদন করেছেন, কিন্তু টাকা পাননি, তাদের চিন্তার কিছু নেই। কয়েকটা দিন যাক। পুজোর পরেই সবাই ভাতার টাকা পেয়ে যাবেন। মমতার এক ঘোষণায় কপাল থেকে চিন্তার ভাঁজ মুছেছে মা-বোনেদের।
এদিন মমতা বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকেই সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন নিয়ে কাজ শুরু করবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী ও রুপশ্রী প্রকল্পের জন্য আমরা ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বাংলার বাড়ি, বিধবা ভাতা আরও অনেক কিছু দেওয়া হবে ডিসেম্বর থেকে। ইতিমধ্যেই ২ কোটি ১৫ লক্ষ মহিলাকে ৪০ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিরাট সিদ্ধান্ত, সরকারি সংস্থার চাকরির পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক হল বাংলা, পাশ করাও কম্পালসারি
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘কিছু লক্ষীর ভান্ডার পড়ে রয়েছে। তারা সকলে পুজোর পরে পেয়ে যাবেন। পুজোটা হয়ে যাক আমরা এগুলো রিভিউ করে নেব।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা একাধিক জনহিতকর প্রকল্পের মাঝে নিঃসন্দেহে সব থেকে জনপ্ৰিয় লক্ষীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar Scheme)। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিয়েছিলেন প্রতিশ্রুতি। সেই মতো নিজ রাজ্যের মহিলাদেরকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে সূচনা হয়েছিল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে।