অজয় রায়, বাংলা hunt : স্পিন টা খেলতে সমস্যা হয়, সেইটা আইপিএলেই দেখা গেছিলো।সাতবার স্পিন বোলারের কাছে আউট হয়েছিল ব্যারিস্টো এবারের আইপিএলে ।তাই স্বাভাবিক ভাবেই যখন কাল প্রথম ওভারে তাহিরের হাতে বলটা দেখেছিলো ও তখন খানিকটা ভ্যাবাচাকা খেয়ে যায় ।ফলাফল ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই ডিফেন্ড করতে ককের হাতে ক্যাচ।তাহিরের দৌড় শুরু।দারুন ভাবে শুরু হলো এবারের বিশ্বকাপ।
ম্যাচের শুরুতেই উইকেট হারিয়ে কেনো বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার তা দেখিয়ে দিলো ইংল্যান্ড।দলের প্রত্যেকটা প্লেয়ার দারুন ছন্দে।যে কোনও দিন যে কোনও প্লেয়ার ড্যামেজ কন্ট্রোল দিয়ে দেবে।
এবছর বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা বোলিং লাইন আপকে যেভাবে খেললো রয়,রুট,মর্গ্যান, স্টোকসরা তা যে কোনও দলের বোলারদের চিন্তায় রাখবে।
প্রথম ম্যাচেই দুরন্ত ফর্মে স্টোকস।প্রথম ব্যাটিং, তারপর বোলিং আর শেষে ফেলুকায়োর ক্যাচটা,অসাধারণ !যদিও ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন নিজেই ক্যাচটা কঠিন করে ফেলেছিলো পজিশনের গন্ডগোল করে ফেলায়।ম্যাচ জিতেও খুব একটা সেলিব্রেশনের মুডে নেই স্টোকস।এখনো অনেক কিছু বাকি।আসলে ব্রেথওয়েটের মারা সেই লম্বা লম্বা ছয় গুলো এখনও মনের কোথায় যেনো কাটার মতো বিধে আছে।১৪ ই জুলাই, লর্ডসের ব্যালকনিতে কাপটা হাতে নিলে সেইটা হয়তো মিটবে।
প্রত্যাশিত ছন্দে আর্চার, যেভাবে বোলিং করছে তাতে সব ব্যাটসম্যানকেই চিন্তায় থাকতে হবে।ওকে দলে না নিলে ভনের ” ন্যাংটা ” হওয়ার হুমকি যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত ছিলো !
অন্যদিকে শুরুতেই কয়েক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেলো ডু প্লেসিসরা।এইদিন গোটা টিম টাই ব্যার্থ।এবার ” চোকার্স ” তকমা তো দুর কেউ খুব একটা কিছু বলছেও না ওদের নিয়ে।ওদের নিয়ে সত্যি কিছু বলা যায়না, কখন কি করে বসবে কে জানে ! তবে প্রথম ম্যাচ সবে,এখনও অনেক খেলা বাকি।দেখা যাক কি করে আমলারা।