শুধু তেল এবং Jio নয়! মুকেশ আম্বানির ভাগ্য খুলে দিল আম, অনুর্বর জমিতেই “সোনা” পেল Reliance

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশ তথা এশিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ ধনকুবের হিসেবে বিবেচিত মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) প্রায় সবসময় তিনি থাকেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তেল থেকে শুরু করে Reliance Jio এবং রিটেল সেক্টরের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তাঁর ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যদিও, মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এখন কৃষিক্ষেত্রেও ক্রমাগত প্রভাব বিস্তার করছেন। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের নেতৃত্বে তিনি কোম্পানিটিকে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম আম রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করব।

কৃষিক্ষেত্রেও প্রভাব বিস্তার মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani):

দূষণ যখন সমস্যা সৃষ্টি করছিল: জানিয়ে রাখি যে, ১৯৯৭ গুজরাটের জামনগরের শোধনাগার থেকে হওয়া দূষণ একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠছিল। তারপর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর থেকে পরিত্রাণ পেতে এমন একটি সমাধান নিয়ে আসে যে আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। কোম্পানিটি দূষণ কমাতে এবং সরকারি নিয়ম মেনে আশেপাশের অনুর্বর জমিকে একটি বিশাল আমের বাগানে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ছিল দূষণ কমানোর পাশাপাশি শোধনাগারের চারপাশে একটি সবুজ বেল্ট তৈরি করা।

Mukesh Ambani is making huge profits by growing mangoes.

৬০০ একর জমিতে লাগানো হয় ১.৩ লক্ষ আম গাছ: ৬০০ একর জুড়ে বিস্তৃত এই আম বাগানটির নামকরণ করা হয়েছে রিলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির নামে। ওই বাগানে দুই শতাধিক জাতের প্রায় ১.৩ লক্ষ আম গাছ রয়েছে। ওই এলাকার অধিক লবণাক্ত ও শুষ্ক জমিতে আম গাছের ভালো উৎপাদনের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছে রিলায়েন্স। এই কৌশলে নোনা জলকে পরিষ্কার জলে রূপান্তরিত করার জন্য একটি প্ল্যান্ট ছিল। এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে দূষণ অনেকাংশে কমেছে। এছাড়াও, উন্নত কৃষি কৌশল যেমন জল সংগ্রহ, ড্রিপ সেচ এবং একই সাথে সার প্রয়োগ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ১৩ বছর বয়সে সেলসম্যান! মায়ের কাছ থেকে ১০,০০০ টাকা ধার নিয়ে ৩২,০০০ কোটির কোম্পানি বানালেন ইনি

প্রতি বছর ৬০০ টন আম উৎপাদন হয়: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুকেশ আম্বানির এই বাগানে একাধিক জাতের আম রয়েছে। এর মধ্যে দেশের বিখ্যাত জাত কেসার, আলফোনসো, রত্না, সিন্ধু, নীলম ও আম্রপালির মতো আম। এছাড়াও ফ্লোরিডা থেকে আসা টমি অ্যাটকিনস, কেন্ট অ্যান্ড লিলি, ইজরায়েলের কিট ও মায়া প্রভৃতি বিদেশি জাত উৎপাদন করা হয়। রিলায়েন্স প্রতি বছর এই বাগান থেকে প্রায় ৬০০ টন আম উৎপাদন করে। এদিকে, রিলায়েন্স কেবল দেশেই নয় বরং এশিয়ার বৃহত্তম আম রপ্তানি সংস্থা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এমতাবস্থায় আম রপ্তানির ক্ষেত্রে আম্বানির (Mukesh Ambani) সংস্থা রিলায়েন্স দেশ ও বিশ্বের শীর্ষ সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: সর্বনাশ! আচমকাই এই ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করল RBI, আপনার অ্যাকাউন্ট নেই তো?

এদিকে, আমের ব্যবসা ছাড়াও প্রতি বছর রিলায়েন্স জামনগরের কৃষকদের এক লক্ষ আমের চারা বিতরণ করে। এছাড়াও, কৃষকদের জন্য রিলায়েন্স কর্তৃক নতুন কৃষি কৌশলের ওপর ভিত্তি করে ট্রেনিং সেশনেরও আয়োজন করা হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর