চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডিংয়ের “অ্যানিভার্সারির” আগে ISRO দিল সুখবর! জানলে গর্বে ফুলে উঠবে বুক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একের পর এক বড় নজির গড়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ISRO (Indian Space Research Organisation)। গত বছরেই চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩-র সফল অবতরণের মাধ্যমে ISRO গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সূর্যকে গভীরভাবে নিরীক্ষণের জন্য কাজ শুরু করেছে আদিত্য L-1। এমতাবস্থায়, ISRO তার পরবর্তী গগনযান অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ISRO দিল বিরাট সুখবর:

ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় আপডেটও সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আমেরিকার তরফে এবার দুই ভারতীয় মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এটাও জানা যাচ্ছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যেই এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন।

Ahead of the "anniversary" of Chandrayaan-3's landing, ISRO gave the good news.

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অর্থাৎ NASA-র জনসন স্পেস সেন্টারে দুই ভারতীয় মহাকাশচারীর প্রশিক্ষণ শুরু হতে চলেছে। এই মহাকাশ কেন্দ্রটি আমেরিকার টেক্সাসে অবস্থিত। ISRO-ও জানিয়েছে, অগাস্টের শুরু থেকে মহাকাশচারীদের এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে।

আরও পড়ুন: বাজারে পতনের মাঝেই চমক দেখাল টাটা গ্রুপের এই শেয়ার, দু’হাতে টাকা কামালেন বিনিয়োগকারীরা

উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের জুনে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা সফরে ছিলেন এবং সেই সময় রাষ্ট্রপতি বাইডেন ভারত থেকে ISS অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একজন মহাকাশচারী পাঠানোর কথা বলেছিলেন। এমতাবস্থায় রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ইউরি গ্যাগারিন কসমোনট ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেওয়া দুই মহাকাশচারীর মধ্যে একজনকে ভারত-মার্কিন যৌথ মিশনে ISS-এ পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন: শুধু তেল এবং Jio নয়! মুকেশ আম্বানির ভাগ্য খুলে দিল আম, অনুর্বর জমিতেই “সোনা” পেল Reliance

এমনও সম্ভাবনা রয়েছে যে SpaceX এবং Axiom ভারতীয় মহাকাশচারীদের সাহায্য করতে পারে এবং এই মিশনটি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ কার্যকর করা যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে ISRO-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে সিভান বলেছেন, এই মিশনটি ভারতীয় মহাকাশচারীদের নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। তিনি বলেন, “গগনযান কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর