বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Primary Recruitment scam) তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমায় বাধা। তদন্তে একাধিক তথ্য উঠে এলেও সেই রিপোর্ট হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা দিতে পারল না সিবিআই (CBI)। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় রিপোর্ট এনেও মঙ্গলবার তা আদালতে জমা করতে পারল না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তদন্তের রিপোর্ট জমা করতে পারেনি ইডিও।
কী জানাল হাইকোর্ট? (Calcutta High Court)
২০২২ থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে ইডি ও সিবিআই। গতবছর ২০১৪ সালে প্রাথমিকে বেআইনিভাবে চাকরি প্রাপক ৯৪ জনের নাম সামনে আসে। আদালতে রিপোর্ট পেশ করে এই প্রাপক ৯৪ জনের নাম সামনে আনে সিবিআই। এরপর ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আদালতের নির্দেশের পর ওই ৯৪ জনের নিয়োগে অনিয়মের কথা স্বীকার করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে পর্ষদ। চাকরিহারাদের কয়েকজন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। ওই শিক্ষকদের সকলেরই নিয়োগ হয়েছিল ২০১৬ সালে ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে। এপ্রিল মাসে সিবিআই ও ইডিকে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দেওয়ায় নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এদিকে, চাকরিহারা ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওক এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহর বেঞ্চ। গত ১৫ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে জানায়, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের চাকরির বহাল থাকবে। রায় ঘোষণার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী ১ আগস্টের পর থেকে তাদের চাকরিতে ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে বড় খবর! DA বৃদ্ধির আগেই সরকারি কর্মীদের নয়া আপডেট দিল কেন্দ্র
এরপরই এখনই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মূল দুটি মামলার শুনানি হচ্ছে না বলে জানাল হাইকোর্ট। গতকাল এই মামলার শুনানি মুলতুবি করে দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। বিচারপতি সিনহা জানিয়েছেন আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের পরে এই মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টে।