বাংলা হান্ট ডেস্ক: এই দুর্মূল্যের বাজারে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে লাফিয়ে বাড়ছে ইলেকট্রিসিটি বিল (Free Electricity)। যার ফলে বিদ্যুৎ খরচের (Free Electricity) জন্য টাকা দিতে গিয়ে পকেট গড়ের মাঠ হওয়ার জোগাড় মধ্যবিত্তের। তাই এবার সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই বিদ্যুতের বিল (Electricity Bill) সংক্রান্ত খরচ কমাতে চলেছে কেন্দ্র সরকার।
প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ (Free Electricity)
মূল্য বৃদ্ধির বাজারে বিদ্যুতের বিলের (Free Electricity) হাত থেকে সাময়িক স্বস্তি দিতেই এবার বিকল্প পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ব্যবহার করার লক্ষ্য নিয়েই ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনা’র (Pradhanmantri Surya Ghar Bijli Yojna) কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় বাজেটে এই জনদরদী প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ইতিমধ্যে সারা দেশেই বিনামূল্যের এই বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্প ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে প্রায় এক কোটি মানুষ। এই প্রকল্পে বিনামূল্যে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ শুধু নয়, পাশাপাশি ভর্তুকিও দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে কোটি কোটি বাড়িতে সোলার প্যানেল বসতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। যারা এই প্রকল্পের সুবিধা নেবে সেই সমস্ত পরিবারের ওপর যাতে আর্থিক চাপ না পড়ে সেটারও নিশ্চয়তা দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই কারণে তাদের অত্যন্ত সহজ শর্তে এবং তুলনামূলকভাবে কম সুদে ব্যাংক ঋণ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর মুফত বিজলি’ যোজনা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই হল সারা দেশে সোলার ইনস্টলেশন বৃদ্ধি করা। শুধু তাই নয়, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক স্বস্তিও দেওয়ার জন্যও আনা হচ্ছে এই প্রকল্প। জানা যাচ্ছে, বাড়ির ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর ফলে শুধুমাত্র প্রচলিত বিদ্যুৎ পরিষেবার উপর নির্ভরতাই কমবে না সেইসাথে ওই পরিবার গুলি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করে টাকাও রোজগার করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই উপহারে DA বাড়ালো কেন্দ্র! বিরাট লক্ষ্মীলাভ সরকারি কর্মীদের
তবে প্রশ্ন হল যে কারা এই আবেদন করতে পারবেন? জানা আছে, মূলত আমাদের দেশের গরীব এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য রাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্পের আবেদন করার জন্য ভারতীয় নাগরিক হওয়া বাধ্যতামূলক এছাড়াও আবেদনকারী বার্ষিক আয় এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে হতে হবে।
এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের পরিবারের কোন সদস্য সরকারি চাকরি করা চলবে না। শুধু তাই নয় পরিবারের কোন সদস্যকে আয়কর প্রদানকারী হওয়াও চলবে না। তবে জানা যাচ্ছে, প্রয়োজনীয় নথি হিসাবে আধার কার্ড, বাসস্থান এবং আয়ের প্রমাণপত্র, রেশন কার্ড, মোবাইল নম্বর, বিদ্যুৎ বিল এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি জমা দিতে হবে।