বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে শোরগোল। তদন্ত যত এগোচ্ছে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। শিক্ষক কেলেঙ্কারির দায়ে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ বহুজনা। এদিকে কেবল সমতলেই নয়, দুর্নীতির কোপ থেকে বাদ যায়নি পাহাড়ও। পাহাড়ে নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা।
হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার (Calcutta High Court)
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই দার্জিলিং-এ শিক্ষাক্ষেত্রে কয়েক হাজার নিয়োগ কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়াই হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে আসে।
বুধবার পাহাড়ে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেখানেই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার।
এদিন শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, পাহাড়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি যে হয়েছে সেই বিষয়টি সরকারের তরফেও হলফনামায় কার্যত মেনে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওদিকে আবার সেই নির্দেশের বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। সর্বোচ্চ আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছে।
মামলাকারীর আইনজীবী আরও জানান, এই ঘটনায় রাজ্যের তরফেই এফআইআর করা হয়েছিল। তবে সেই তদন্ত এখনও বন্ধ রয়েছে। এই নিয়েই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে করা এফআইআর এর ভিত্তিতে তদন্ত কেন বন্ধ রয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন বিচারপতি।
মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, হঠাৎ করে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া, পাশাপাশি যে পুলিশ আধিকারিকরা তদন্ত বন্ধ রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত না করা এটাই প্রমাণ করে যে সরকার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করে অন্যায়কে ঢাকার দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা: আবহাওয়ার খবর
আদালতের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলছে ঠিকই, তবে যে মামলা রাজ্য সরকার নিজে করেছিল তার তদন্ত বন্ধ কেন। যেই তদন্ত সিআইডি করছিল, সেই তদন্ত বন্ধ রাখার কারণ জানতে চাইল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।