বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটে বড় সাফল্যের পর থেকেই সরকারি কর্মীদের জন্য একের পর এক ঘোষণা করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেড়েছে একাধিক দফতরের কর্মীদের ভাতাও। এরই মাঝে এবার রাজ্য (West Bengal Government) তরফে ফের সুখবর। এবার থেকে স্বাস্থ্য প্রকল্পে আরও একটি সুবিধা পেতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা (Government Employees)।
সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা রাজ্যের (West Bengal Government)
জানিয়ে রাখি, এবার থেকে চোখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ‘লুসেনটিস’ নামের ইনজেকশনের পুরো দাম স্বাস্থ্য প্রকল্পের মাধ্যমে মিলবে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার তরফে একথা জানানো হয়েছে। আগে অবশ্য নিয়ম অন্য ছিল। আগে এই চোখের ইনজেকনের জন্যে স্বাস্থ্য প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি কর্মীরা ৪৫ হাজার টাকা করে পেতেন। বাকি টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মীর নিজেকে দিতে হত।
বর্তমানে এই ‘লুসেনটিস’ ইনজেকনের দাম ৫০ হাজার পেরোলে অর্থদপ্তরের মেডিকেল সেলের কাছ থেকে আগে অনুমোদন নিতে হবে বলে নিয়মে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০০ মিলিলিটার হিউম্যান অ্যালবুমিনের (২০ শতাংশ) জন্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের স্বাস্থ্য প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
জানিয়ে রাখি, এতদিন এই ১০০ মিলিলিটার হিউম্যান অ্যালবুমিনের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীরা সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা করে পেতেন। তবে এবার থেকে পুরো দামই দেওয়া হবে। ওদিকে কিছুদিন আগেই সরকারি কর্মীদের হেলথ স্কিম নিয়ে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থ দফতর।
রাজ্য অর্থ দফতরের মেডিক্যাল সেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ হেলথ স্কিমে আরও কিছু হাসপাতালকে যুক্ত করছে সরকার। যার ফলে উপকৃত হবেন সরকারি কর্মীরা। স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্বাস্থ্য স্কিমে যুক্ত হওয়া নতুন হাসপাতালগুলি হল কলকাতা কিডনি ইনস্টিটিউট (কালিকাপুর), তপোবন হাসপাতাল (দুর্গাপুর), টেকনো ইন্ডিয়া ডামা হেলথকেয়ার সেন্টার (ইএম বাইপাস), আরামবাগ ডায়াগ্নস্টিক (আরামবাগ), এএসজি হাসপাতাল (বিটি রোড)।
পাশাপাশি এএসজি হাসপাতাল (দেশপ্রাণ শাসমল রোড), হিমালয়ান আই ইনস্টিটিউট (শিলিগুড়ি), জ্যোতির্ময় আরোগ্য ভবন (চণ্ডীতলা, শ্রীরামপুর), মেডিট্রাস্ট ডায়াগ্নস্টিক (কাশিপুর রোড, দমদম) কেও স্বাস্থ্য প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ED-কে চ্যালেঞ্জ! আর্থিক তছরুপ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী জানাল শীর্ষ আদালত?
জানিয়ে রাখি এই স্বাস্থ্য স্কিমের মাধ্যমে সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাদের এবং তাদের পরিবার ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস পরিষেবা পেতে পারেন। এই প্রকল্পের আওতায় কোনো সরকারি কর্মীর চিকিৎসার খরচ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে কর্মীকে হাসপাতালের কোনও বিল মেটাতে হয় না। তবে অবশ্যই সেই হাসপাতালকে এই প্রকল্পের এমপ্যানেলড হাসপাতাল হবে।