বাংলাহান্ট নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২৪-এর অলিম্পিক্স (Olympics)। চলছে দুর্দান্ত মোকাবিলা। বিরোধী পক্ষকে এক চুলও মাটি ছাড়তে রাজী নয় কোনও প্রতিযোগীই। ইতিমধ্যেই শুটিংয়ের জন্য দেশের কাছে এসে গিয়েছে দুটি পদক। তৃতীয় পদকের জন্যে স্বপ্নীল কুশালের (Swapnil Kusale) দিকে চেয়ে রয়েছে দেশবাসী। ছেলেদের ৫০ মিটার ৩ পজিশনের ফাইনালে প্রবেশ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, অলিম্পিক্সে (Olympics) ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনের ফাইনালে পৌঁছানো প্রথম ভারতীয় শুটার তিনি। তাই তাঁর প্রতি দেশবাসীর আশাটাও আরও একটু বেশি।
জানা যায়, কোচ না বলা পর্যন্ত তিনি জানতেনই না, যে তিনি ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন। স্বপ্নীল শেষের দিকের সিরিজগুলিতে স্ট্যান্ডিং পজিশনে ৯৮, ৯৭ করেন। তারপরই ফাইনালে প্রবেশ করেন। তবে, জানেন কি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই ভারতীয় শুটারের অনুপ্রেরণা কে? জালনে অবাক হবেন আপনিও। না অন্য কোনও শুটার নয়। তাঁর অনুপ্রেরণা একজন ভারতীয় ক্রিকেটার। স্বপ্নীলের অনুপ্রেরণা হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
শুরু হয়ে গিয়েছে অলিম্পিক্স (Olympics) ২০২৪
আসলে স্বপ্নীলের জীবলের ঘটনাটি একেবারে মিলে যায় মহেন্দ্র সিং ধেনির সঙ্গে। তাই তাঁর বায়োপিক থেকে এই কাহিনি জানার পর, মাহিকেই নিজের অনুপ্রেরণা বানিয়ে ফেলেছিলেন স্বপ্নীল কুশালে। কেরিয়ারের প্রথমদিকে তিনি ছিলেন, এক রেলওয়ে টিকিট কালেক্টর। আর মাহিও খড়গপুর রেলওয়ের টিকিট কালেক্টর হিসেবেই নিজের কেরিয়ারের শুরু করেছিলেন। সেই দেখেই অনুপ্রানিত হয়েছিলেন স্বপ্নীল।
এক সাক্ষাৎকারে স্বপ্নীল বলেন, ‘আমি শুটিং জগতে নির্দিষ্ট কাউকে খুব একটা অনুসরণ করি না। এর বাইরে, আমি এম এস ধোনিকে অনুসরণ করি। আমি তাঁর মতো শান্ত এবং ধৈর্যশীল হতে চাই। আমার গল্পটাও খানিকটা তাঁর গল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ আমি তাঁর মতোই একজন টিকিট সংগ্রাহক ছিলাম।’এছাড়াও তিনি বলেন, ‘আমি একাধিকবার এই বিশ্বকাপ বিজয়ীর বায়োপিক দেখেছি। আর সেটা থেকেই এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।’
ধোনি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, শুটিংয়ের জন্য আমার শান্ত এবং ধৈর্যশীল হওয়া প্রয়জন। আর মাঠে ধোনি যেভাবে শান্ত মাথায় ম্যাচ বের করেন, তা আমায় অবাক করে। আমি তাঁর বড় ভক্ত।’ স্বপ্নীল কুশালের কথা শুনেই বোঝা যায়, যে তিনি ধেনির এই দুটি বৈশিষ্ঠকেই অনুপ্ররণার মূল অংশ ভেবে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২৯ বছর বয়সী এই যুবক ২০১২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিন্তু, অলিম্পিক্সে আত্মপ্রকাশ করতে তাঁকে আরও ১২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।