‘তুম তো ঠহরে পরদেশি’ থেকে শুরু যাত্রা, গায়ক আলতাফ রাজা এখন কোথায় জানেন?

তুম তো ঠেহরে পরদেশী, গানটি প্রায় প্রত্যেকের চেনা। রাতারাতি ভারতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই অ্যালবামটি। আট থেকে আশি সবার মুখে তখন এই একটিই গান। গানটি তৈরি করেছেন মুম্বইয়ের এক দর্জি। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন, এই গানের শ্রষ্ঠা আলতাফ রাজা (Altaf Raja) পেশায় ছিলেন একজন দর্জি। কিন্তু, তাঁর রক্তে ছিল গান। তাই কোনও পরিস্থিতিই আটকে রাখতে পারেনি তাঁকে।

একটি অ্যালবাম বের করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি। দুনিয়াকে জানিয়েছিলেন ইচ্ছা থাকলেই উপায় বের করা যায়। জানা গিয়েছে ছোট থেকেই গান ভালোবাসতেন তিনি। তাঁর বাবা, মা দুজনেই পেশায় গায়ক ছিলেন। তাঁরা প্রায়শই কাওয়ালি করতেন। ছেলের হারমোনিয়াম শেখার ইচ্ছেটাও সেখান থেকেই শুরু। ছোট বয়সেই মায়ের সঙ্গে অনুষ্ঠান করতেন আলতাফ (Altaf Raja)।

Altaf Raja

একটি অ্যালবাম বের করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়েছিলেন আলতাফ রাজা (Altaf Raja)

মা বাবার ইচ্ছে ছিল, ছেলে বড় মাপের মানুষ হোক। তাই মুম্বইয়ের একটি নামী স্কুলে ভর্তিও করে দেওয়া হয় তাঁকে। জানা যায়, সেই স্কুলে হামেশাই আসা যাওয়া করতেন রাজ কাপুর। সেই দেখেই আলতাফের মায়ের এই ইচ্ছে। তবে, পড়াশোনায় কোনও কালেই মন বসত না গায়কের। তাই নবম শ্রেণীর পর আর পড়াশোনা করেননি তিনি। মুম্বইতেই এক দর্জির দোকানে কাজ করতেন তিনি।

সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর, ভারতজুড়ে অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করতেন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে তুম তো ঠেহরে পরদেশী অ্যালবাম প্রকাশ করেন তিনি। এই অ্যালবাম মন কাড়ে গোটা দেশবাসীর। এই সিডির হাত ধরেই গিনেস বুকে নাম তোলেন তিনি। কারণ আজ পর্যন্ত এটিই ভারতে সর্বাধিক বিক্রিত সিডি ক্যাসেট। পাড়ার মোড়ের দর্জি থেকে গায়ক হয়ে ওঠার এই পথটা কখনওই মসৃণ ছিল না। ছিল বাধা, ছিল দিনকষ্ট এবং সব শেষে ছিল মাথা তুলে দাঁড়ানোর অদম্য জেদ। যা দিনশেষে তৈরি করল আলতাফকে।

তারপর ধীরে ধীরে বলিউডের বেশ কিছু ছবিতে গান গেয়েছিলেন তিনি। তবে, সাফল্য আসেনি। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করেন। সেখান থেকেই মূল আয় তাঁর। থাকেন মুম্বইয়েরই একটি ফ্ল্যাটে। সম্প্রতি স্প্লিটভিলাতে একটি গানে গোলা মেলাতেও শোনা গিয়েছে তাঁকে। তবে তাঁর ইচ্ছে, তাঁর সেই পুরোনো গানের একটি রিমিক্স ভিডিয়ো করা হোক, আর তাতে অভিনয় করতে দেখতে চান তিন খানকে।

Pousali Chakraborty
Pousali Chakraborty

সংবাদের প্রতি টানে ব্রেকিংয়ের দুনিয়ায় পা দেওয়া পৌষালীর। দর্শন নিয়ে স্নাতকে এগোলেও পরবর্তী পথ চলাটা খবরের দিকে ঘুরে যায়। জীবনে আসে যাদবপুর থেকে পড়ার অল্প সময়ের সুযোগ। টলিপাড়ায় উঁকি দেওয়া থেকে বাইশ গজের পিচে কার ঝুলিতে কত রান, দুই দিকেই নজর ঘোরাতে ভালোবাসেন পৌষালী। পর্দার অনুষ্কা-মাঠের বিরাট দু'জনের খবর সমান তালে রাখার চেষ্টা করে। অবসর সময় কাটে নাচ, বই, ম্যাগাজিনে চোখ বুলিয়ে।

সম্পর্কিত খবর