সদ্য হুগলি জেলার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন নজরদারি। কখনও হাসপাতাল কখনওই বা স্কুল। বিভিন্ন জায়গায় সারপ্রাইজ ভিজিট করছেন অভিনেত্রী। তদারকী করছেন একাধিক বিষয়ে। খতিয়ে দেখছেন ভালো-মন্দ। কখনও স্কুলে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পড়া ধরছেন, আবার কখনও হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের অবস্থার বিচার করছেন। কিছু গোলমাল দেখলেই দিচ্ছেন হুংকার।
সম্প্রতি হুগলি জেলার পান্ডুয়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেটি ছিল তাঁর সারপ্রাইজ ভিজিট। হঠাৎই বৃহস্পতিবার স্কুলে হাজির হন সাংসদ। গোটা স্কুল পরিদর্শন করেন তিনি। একটি ক্লাসে ঢুকে বাচ্চাদের পড়াও জিজ্ঞাসা করেছিলেন অভিনেত্রী। ধরেছিলেন বানানও। বর্তমানে হুগলির চেহারা তাই কিছুটা এইরকমই। রচনার (Rachana Banerjee) সারপ্রাইজ ভিজিটে সজাগ কর্তৃপক্ষ।
কখনও হাসপাতাল কখনও স্কুল, বিভিন্ন জায়গায় সারপ্রাইজ ভিজিট করছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)
স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিটের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সাংসদ। তখনই জানান বেশ কয়েকটি কথা। রচনা বলেন, ‘এই স্কুলের সব কিছুই ঠিক আছে। পড়াশোনাও ভালো করেই চলছে। অসুবিধার কোনও বিষয় নয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও সজাগ। তবে, দুটি ক্লাসরুম সিলিং থেকে চাঙর খোসে পড়ার ভয় বন্ধ করা হয়েছে, পড়ুয়ারা বাইরে মাটিতে বসে ক্লাস করছে। তাই কয়েকটা বেঞ্চ ও দুটি ক্লাস ঘর বানানোর কথা হয়েছে।’
সম্প্রতি হুগলি জেলার চুঁচুড়ায় ইমামবাড়ার নিকটবর্তী হাসপাতালেও এই ধরনের সারপ্রাইজ ভিজিটই করেছেন রচনা। জানিয়েছেন সুবিধা অসুবিধার কথা। রোগীর কাছে পরিজনদের ভিড় নিয়ে তুলেছেন প্রশ্নও। বলেছেন রোগীর সঙ্গে দেখা করার জন্য বিনা মূল্যে টিকিটের ব্যবস্থা করার কথা। এছাড়াও ভির নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও বেশ কিছু গার্ডের প্রয়োজনীয়তার কোথাও জানিয়েছেন অভিনেত্রী তথা সাংসদ।