স্কুলে ঠিকঠাক পৌঁছল তো সন্তান? সেই দুশ্চিন্তা এখন অতীত! আসছে নয়া ব্যবস্থা,কমবে স্কুল ছুটের সংখ্যাও

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সঠিক সময়ে সন্তান স্কুলে যাচ্ছে কিনা তা নিয়ে অনেক অভিভাবকই চিন্তিত থাকেন। এবার সেই চিন্তা দূর করতে অভিনব পদক্ষেপ নিল গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাণী বিদ্যাবীথি স্কুল। কিছুদিন আগেই এই স্কুলে (School) চালু হয়েছে কিউআর কোড (QR Code) ভিত্তিক হাজিরা। প্রায় আড়াই হাজার পড়ুয়া পড়াশোনা করেন এই স্কুলে।

স্কুলে (School) এবার কিউআর কোড (QR Code)

স্কুলের (School) পড়ুয়ারা যখন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছেন তখন তাদের কাছে থাকা আইডেন্টি কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান করলেই মেসেজ চলে যাচ্ছে অভিভাবকদের ফোনে। এই স্কুলের (School) পরিচালন মন্ডলী বলছে, নতুন হাজিরা ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর পড়ুয়াদের মধ্যে সময়মতো স্কুলে আসার প্রবণতা বেড়েছে।

আরোও পড়ুন : সোনায় সোহাগা! ফের ভাতা বাড়ল সরকারি কর্মচারীদের, বিরাট ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

যার ফলে সার্বিক শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটবে। পাশাপাশি নিশ্চিন্ত হবেন অভিভাবকেরাও। এই স্কুলের এক ছাত্রীর অভিভাবক জানাচ্ছেন, ‘‘আগে কখনও সিভিক ভলান্টিয়ার কখনও বা অন্য পড়ুয়ার অভিভাবকদের ফোন থেকে বাড়িতে ফোন করে দিত মেয়ে। তবে সেটা রোজ সম্ভব হত না। চিন্তায় থাকতাম।’’ সহজেই অভিভাবকেরা অভিযোগ, পরামর্শ ও অন্যান্য তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন।

আরোও পড়ুন : প্রায় ২০ হাজার বেতন! চাকরির সুবর্ণ সুযোগ মিলবে পোস্ট অফিসে, অ্যাপ্লাই না করলেই পস্তাবেন

গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাণী বিদ্যাবীথি স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেছেন, ‘‘অভিভাবক মহলেও স্কুলের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসিত হচ্ছে। অভিভাবকদের মাসের শেষে দেওয়া হচ্ছে উপস্থিতির খতিয়ান। সেই হার কম থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ কিউআর কোড ভিত্তিক হাজিরা ব্যবস্থার পাশাপাশি এই স্কুলে চালু হয়েছে ই-ডায়েরি অ্যাপ।

1722568304 সন্তান স্কুলে

এই অ্যাপের মাধ্যমে অভিভাবকেরা জানতে পারছেন স্কুলে কী কী হচ্ছে সেই সব সংক্রান্ত বিষয়ে। ক্লাসওয়ার্ক এবং হোমওয়ার্ক, স্কুলের রুটিন, স্কুলের বিভিন্ন নোটিস সবকিছুই চলে যাচ্ছে অভিভাবকদের ফোনে। স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ক্লাস টিচার ও অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে অভিভাবকেরা যোগাযোগ করতে পারবেন এই অ্যাপের মাধ্যমে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর