বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন অখিল গিরি (Akhil Giri)। এবার বনদফতরের একজন মহিলা আধিকারিককে অপমান করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তাঁকে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতকাল সুব্রত বক্সী ফোন করে অখিলকে সেকথা জানিয়েছেন। সেই নির্দেশ মতো সোমবার কলকাতায় এসেছেন তিনি। আজই কারামন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন রামনগরের বিধায়ক।
মহিলা অফিসার নন, কার কাছে ক্ষমা চাইবেন অখিল (Akhil Giri)?
বনদফতরের একজন মহিলা অফিসারের উদ্দেশে অখিল যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে প্রবল বিতর্ক। কেন ওই আধিকারিকের সঙ্গে এমন ব্যবহার করলেন, এই বিষয়ে রামনগরের বিধায়ক বলেন, পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছিল যে এমন কথা বলে ফেলেছিলেন তিনি।
কারামন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে অখিল বলেন, ‘গ্রামবাসীরা রেঞ্জ অফিসারের দু’টো কথায় রেগে যান। উনি গ্রামবাসীদের গুণ্ডা বলেছেন। অথচ ওই গুণ্ডাদের টাকাতেই উনি বেতন পান’।
আরও পড়ুনঃ ১০০ দিনের প্রকল্পে বাংলার ঝুলিতে শূন্য! এবার ‘প্রমাণ’ সহ কেন্দ্রকে তুলোধোনা ডেরেকের
মহিলা অফিসারকে উদ্দেশে করে অখিল যে মন্তব্যগুলি করেছিলেন তা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল (Trinamool Congress)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন বলে খবর। এরপর রবিবারই চলে আসে পদত্যাগের নির্দেশ। যদিও মন্ত্রিত্ব খোয়ানো নিয়ে তাঁর কোনও ক্ষোভ নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।
অখিল (Akhil Giri) বলেন, ‘মন্ত্রিসভা থেকে চলে যাচ্ছি, এই নিয়ে কোনও রাগ নেই। তবে উত্তেজনার বশে যে কথা বলে ফেলেছি, তার জন্য আমি অনুতপ্ত। সুব্রত বক্সী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী সারাদিন টিভিতে দেখার পর আমায় পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন’। এখানেই না থেমে তিনি বলেন, ২০১১ সাল থেকে তিনি মন্ত্রী ছিলেন, সেই কারণে মন্ত্রিত্ব খোয়ানো তাঁর কাছে কোনও বড় ব্যাপার নয়।
বনদফতরের আধিকারিকের ক্ষমা চাইবেন কিনা জিজ্ঞেস করায় অখিল বলেন, কোনও আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু আমার আচরণে যদি মন্ত্রিসভা কালিমালিপ্ত হয়ে থাকে, যদি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে থাকে, সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে চিঠি লিখছি। এদিন বিধানসভায় গিয়ে অখিল নিজের হাতে চিঠি দেবেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে অধিবেশনে হাজির থাকবেন না তৃণমূল বিধায়ক।