বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে লাগাতার চাপের মুখে পড়ছিলেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। শেষমেশ ইস্তফা দেন তিনি। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁকে নিয়োগ করা হয় ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ (RG Kar Principal) হিসেবে। এরপরেই শোনা যায়, তিনি নাকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্নেহধন্য’।
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ (RG Kar Principal) সন্দীপ ঘোষ কে জানেন?
চলতি সপ্তাহে প্রয়াত চিকিৎসকের বাড়ি গিয়ে মমতা বলেছিলেন, এক নয়, একাধিক ব্যক্তিও জড়িত থাকতে পারে এই ঘটনায়। যদিও এরপর অধ্যক্ষ সন্দীপকে ‘ক্লিনচিট’ দেন তিনি। এরপর সন্দীপ আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁকে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে আসীন করা হয়।
মঙ্গলবার সন্দীপকে লম্বা ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘কীভাবে একজন পদত্যাগ করার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হল? আপনি কি এত ক্ষমতাবান লোক? আপনি হাসপাতালের অভিভাবক। আপনার নির্যাতিতার প্রতি সহানুভূতি না থাকলে আর কার থাকবে? কোনও ব্যক্তি আইনের ঊর্ধ্বে নয়’।
আরও পড়ুনঃ হেফাজতে অভিযুক্ত, দিল্লি থেকে এল বিশেষ দল! আরজি কর কাণ্ডে ‘অ্যাকশনে’ CBI, তোলপাড় বাংলা!
উল্লেখ্য, সন্দীপকে (Sandip Ghosh) এর আগেও আরজি কর থেকে দু’বার অপসারণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি সেখানে ফিরে গিয়েছেন। একবার তো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে বদলির নির্দেশিকা গিয়েছিল। আরেকবার মুর্শিদাবাদে বদলি হলেও কয়েক মাসের মধ্যে ফের আরজি করে ফিরে আসেন তিনি।
আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন সন্দীপ। লাগাতার চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ ইস্তফা (RG Kar Principal) দেন তিনি। এরপর সন্দীপকে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসানো হলেও তিনি যোগ দিতে পারেননি। চিকিৎসক এবং ছাত্রছাত্রীরা অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ’৩টে অবধি সময় দিলাম। এর মধ্যে অধ্যক্ষকে স্বেচ্ছায় ছুটিতে চলে যেতে বলুন। নাহলে আমরা নির্দেশ দিতে বাধ্য হব’।