বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরজিকরের তরুণীর নির্মম হত্যা এবং ধর্ষণের ঘটনায় এই মুহূর্তে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। ঘটনার নৃশংসতা দেখে গা শিউরে উঠছে সকলেরই। ইতিমধ্যেই তিলোত্তমার দেহ ময়নাতদন্ত করে উঠে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যা থেকে জানা গেছে তাঁর শরীরে ছিল ১১৩টা কামড়ের দাগ, আর পাওয়া গিয়েছে ১৫০ গ্রাম বীর্য। যা থেকে অনুমান করা হচ্ছে ২০ জন পুরুষ মিলে গণধর্ষণ করেছিল ওই তরুণীকে।
কীভাবে ভাঙতে পারে পেলভিস বোন (Pelvis Bone)?
তিলোত্তমার ক্ষতবিক্ষত শরীরের চোখ থেকে ঠিকরে বেরিয়ে এসেছিল রক্ত। আর ভাঙা ছিল তাঁর পেলভিস বোন (Pelvis Bone)। যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘পেলভিক গার্ডেল’ নামে পরিচিত। এটি মানব দেহের অন্যতম শক্তিশালী একটি হাড়। কিন্তু তিলোত্তমার শরীরের এই হাড় ছিল ভাঙা। তারপর থেকেই ঘোরাফেরা করছে একটাই প্রশ্ন তা হল ঠিক কতটা চাপ পড়লে ভাঙা সম্ভব ওই হাড়?
সম্প্রতি টিভি নাইন বাংলাকে এই পেলভিস বোন সম্পর্কিত এমনই নানা ধরনের খুঁটিনাটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন চিকিৎসক চন্দ্রশেখর ধর। এই পেলভিস বোন (Pelvis Bone) দেখতে অনেকটা রিং বা গোলাকৃতির হয়ে থাকে। যা আসলে অনেকটা খাঁচার মতো। পেলভিস বোন (Pelvis Bone) আমাদের দেহের উপরের অংশ এবং নিচের অংশকে যুক্ত করার কাজ করে থাকে।
এখন প্রশ্ন হল এই হাড় ঠিক কতটা শক্তিশালী হয়?জবাবে চিকিৎসার চন্দ্রশেখর ধর উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, যদি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওজন ৭০ কেজি হয়, আর তার দেহের নিচের অংশের ওজন যদি ১৫ কেজি হয় তাহলে সেই মানুষটি যখন হাঁটাচলা করেন তখন সেই ১৫ কেজি ওজন বাদ দিলে বাকি ৫৫ কেজি ওজনের ভার বহন করতে পারে এই পেলভিস বোন।
আরও পড়ুন : বাতিল ডার্বি, আর জি করের নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে খেলোয়াড়রা
আর মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হাড় আরও বেশি শক্তিশালী হয়। কারণ গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরের অতিরিক্ত প্রায় চার থেকে পাঁচ কেজি অতিরিক্ত ওজনও বহন করে থাকে এই পেলভিস বোন। এই হাড় খুবই শক্ত হয়। শুধুমাত্র অস্বাভাবিক জোর না দিলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরের এই পেলভিস বোন ভাঙা অসম্ভব।
ওই চিকিৎসকের কথায় কোন কার অ্যাক্সিডেন্ট হলে যে ধরনের চাপ পড়ে একমাত্র তাতেই এই হাড় ভাঙতে পারে। এছাড়া কোন ব্যক্তির একার পক্ষেও এই হাড় ভাঙা সম্ভব নয়। তবে কেউ যদি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তাহলেই এই পেলভিস বোন ভাঙা সম্ভব।